অযৌত্তিক আখ্যা দিয়ে চীনা কোম্পানির ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করেছে চীন।
সম্প্রতি ইরানের কাছে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রির অভিযোগে এক চীনা কোম্পানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে চীন বলেছে, তেহরানের পরমাণু কর্মসুচির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে যুক্তরাষ্ট্র এই অযৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওবামা প্রশাসন ইরানে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের দায়ে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ঝুহাই ঝেনরং কর্পোরেশনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করে । চীনের এই কোম্পানিটিকে ইরানে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত শনিবার দিনের শেষার্ধে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিউ উইমিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব আইনের আলোকে চীনা কোম্পানির ওপর অবরোধ আরোপ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ইরানের পরমানু ইস্যুকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার সম্পূর্ণ বিরোধী ।’
এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে চীন এর তীব্র বিরোধিতা জানাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া অন্যান্য দেশের মতই চীন এবং ইরানের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক খাতে স্বাভাবিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন চীনা মুখপাত্র।
পরমানু ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্রদের অবরোধের হুমকির কারণে বিশ্বের অনেক জ্বালানি আমদানিকারক দেশের মত চীনও উদ্বিগ্ন। বিশ্ব বাজারে ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলো চীন। তাই ইরানের তেল রপ্তানির বিরুদ্ধে অবরোধ বাস্তবায়ন হলে চীনের জ্বালানি নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চীন আগে থেকেই ইরানের পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ’র একতরফা যে কোন নিষেধাজ্ঞা প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করে আসছে। তারা জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া ইরানের ওপর কোন ধরনের অবরোধ আরোপের বিরোধী।