দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন পাইবাস

দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন পাইবাস

বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রিচার্ড পাইবাস। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি বলেন,‘পাইবাসের কাছ থেকে গতকাল তাঁর এজেন্টের মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা পেয়েছি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি আর বাংলাদেশের সঙ্গে নেই। সেক্ষেত্রে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য শেন জার্গেনসেনকে প্রধান কোচ করা হয়েছে।’

এ বছর জুনে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি গড়া ইংলিশ কোচ। দায়িত্ব নেওয়ার পর দল নিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিলেন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য। সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচসহ মোট ছয়টি ম্যাচ খেলে চারটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ডাবল লিগের খেলায় পরের দুটি ম্যাচ জিতলেও প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলতে পারেনি। পরের মাসে ইউরোপ সফরে আয়ারল্যান্ডকে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই দিলেও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচে হারের পর স্বাগতিক নেদাল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের আগে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোতে চারজাতি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেরও ফাইনাল খেলতে পারেনি স্বাগতিক দলের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে যাওয়ায়। পরে বিশ্বকাপ ভেন্যু শ্রীলঙ্কাতে প্রস্তুতি ম্যাচেও আয়ারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়। যার প্রভাব পড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলায়। নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ।

রিচার্ড পাইবাসকে বিসিবি থেকে অনেক দিন চুক্তি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি ছুটির ইস্যুতে চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেননি। বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘নূন্যতম ৪৫ দিন ওপরে যত ইচ্ছে ছুটির বিষয়টি চুক্তিপত্রে রাখতে বলেছিলেন তিনি। পৃথিবীর কোন ক্রিকেট বোর্ড এভাবে কোচকে ছুটি দিতে রাজি থাকবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। আমরা তাকে বলেছিলাম, বছরে ৪৫ দিন ছুটি চুক্তিপত্রে থাকবে। আপনি ইচ্ছে করলে একটু বেশি কাটাতে পারবেন। এটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোন কোচের ঝামেলা হয় না। কোচের সঙ্গে এই আলোচনার সময় ট্রেনার গ্র্যান্ট লুডেনও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও বলেছেন আমরা কোন সমস্যা করি না। অথচ সে এখন অন্যভাবে ব্যাখ্যা করছে।’

পাইবাসের একটি দুর্নাম আছে তিনি কর্মস্থলে ঝামেলা করে চাকরি ছেড়ে দেন। পাকিস্তানের সঙ্গেও তার ঝামেলা হয়েছিলো বলে অভিযোগ আছে। এমন কি বাংলাদেশে আসার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লাবের সঙ্গেও মেয়াদপূর্তির আগে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশে এসেও চুক্তি না করে চলে গেলেন। এবং চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুর্নাম করছেন!

তিনি যেভাবে ছুটি কাটাতে চেয়েছেন তাতে করে বছরে তিন মাসের বেশি তাকে কাজ করতে হতো না। বিসিবি তার প্রস্তাবে রাজি হলে বছরের প্রায় নয় মাস দক্ষিণ আফ্রিকায় পরিবারের কাছে থেকেও লাখ লাখ ডলার উপার্জন করতে পারতেন।

খেলাধূলা