গাজায় ত্রাণ নেওয়ার জন্য অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা একটি তামাশাপূর্ণ নাটক এবং এ দিয়ে গণ-অনাহার দূর করা সম্ভব হবে না।
জাতিসংঘের একজন মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ শুক্রবার এ কথা বলেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার তার স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে এ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। তিনি অবরুদ্ধ গাজায় আরও ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে চালানো ইসরায়েলের অভিযানকেও সমর্থন করেন।
কংগ্রেসকে বাইডেন বলেন, একটি জেটি নির্মাণের মাধ্যমে গাজায় আরও মানবিক সহায়তা পাঠানো সম্ভব হবে।
তার এ পরিকল্পনা নাকচ করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মাইকেল ফাখরি বলেছেন, কেউ নৌ জেটির কথা বলেনি। না ফিলিস্তিনি জনগণ, না মানবাধিকারবিষয়ক ত্রাণ কমিউনিটির কেউ।
তিনি বলেছেন, কোন জেটি কিংবা আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা বাড়িয়েও ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ এড়ানো সম্ভব হবে না। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগকে অযৌক্তিক, নিষ্ঠুর ও তামাশা বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে সেখানে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য বলে একাধিকবার সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
ফাখরি বলেছেন, এ মুহূর্তে গাজার প্রতিটি লোক ক্ষুধার্ত।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮৭৮ জন নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু