আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট দেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট দেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য আত্মনির্ভরশীল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। পরনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা নয়। তবে অবশ্যই আমরা আত্মকেন্দ্রিক হবো না। সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে যোগাযোগ রেখে চলব। জানব, চলব, জ্ঞান অর্জন করব।

আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে অমর একুশের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলা ফন্টসহ একগুচ্ছ প্রযুক্তি সেবা চালু করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সেবা নিজস্ব উদ্ভাবক, গবেষকের মাধ্যমে তৈরি করতে চাই। একদিকে যেমন আমরা বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করতে বাধা দেব না, কিন্তু যেন আমাদের নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকে, সে জন্য আমরা দেশি উদ্ভাবক, গবেষকদের উৎসাহিত করছি। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছি। অবশ্য আমার গুগল জি বোর্ড গুগল ক্লাউড ব্যবহার করব, পাশাপাশি উচ্চারণ, কথা, বর্ণমালা, পূর্ণ, অনুভব, ধ্বনি, গুরুসহ আমাদের নিজস্ব যত ধরনের প্রযুক্তি সেবা রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করব।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৪০টি সফটওয়্যার, ১৬টি কম্পোনেন্ট নধহমষধ.মড়া.নফ তে সমন্বয় করেছি। সবগুলো একসঙ্গে এখানে সংরক্ষণ করেছি। এগুলোর কপিরাইট, মেধাস্বত্ত বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট থাকবে। যা ভবিষ্যতে নতুন ধরণের সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ফাউন্ডেশন হিসেবে এগুলো কাজ করবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত পাঁচ বছর আমি খুব বেশি আশাবাদী ছিলাম না। তবে আমাদের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিটি, কম্পিউটার কাউন্সিল মিলে এমন একটা অবস্থায় আমরা এসেছি আমি এখন খুবই আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রী আগামীর ৪১ এর যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছেন, সেখানে প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এবং বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নতুন প্রজন্ম কিন্তু তৈরি হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ৪০টা সফটওয়্যার তৈরি হচ্ছে, যেখানে থাকছে ১৬ টি কম্পোনেন্ট। সেখানে সাতটি বাংলাদেশের সফটওয়্যার কোম্পানি সেখানে কাজ করছে। দশটি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করছে। ইতোপূর্বে আমরা বেশ কয়েকটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করেছি। যেটার ব্যবহার হচ্ছে। আমরা এখন গর্ভের সঙ্গে বলতে পারি ১৬ ধরনের কম্পোনেন্ট, ৪০ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করছি। যেটি হবে, ডিজাইন ইন বাংলাদেশ ডেভেলপ ইন বাংলাদেশ, মেইড ইন বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অঙ্গীকার করেছি, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোকে লাভজনক করা। আমি জানি এটা অনেক কঠিন। তারপরও এ কঠিনকে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার করেছি। জিপন প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে চাই। সেজন্য আমরা গ্রাহক প্রান্তে অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে দ্রুতগতি ইন্টারনেট সেবা আমরা দিচ্ছি। আমাদের যে বিশাল চাহিদা রয়েছে সেজো সেটা পূরণে আমরা এখন বিটিসিএল কে আধুনিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করতে চাই। সুলভ মূল্যে আমরা ইন্টারনেট দিচ্ছি। স্পিড বাড়িয়ে দাম কমিয়েছি।

শুধু সরকারি পর্যায়ে না, বেসরকারি খাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিসিয়ানরা মিলে সম্মিলিতভাবে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একুশের চেতনায় জাগ্রত হয়ে অঙ্গীকার করেছি, আত্মনির্ভরশীল একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। যেখানে প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশ হিসেবেই শুধু আমাদেরকে বিশ্ব চিনবেনা, প্রযুক্তি উদ্ভাবক দেশ হিসেবেও যেন আমাদেরকে চিনতে পারে, মর্যাদা এবং সম্মান করতে পারে সে জন্য আমরা এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছি।

বাংলাদেশ