জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পাকিস্তানজুড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পার্লামেন্টারিয়ানসের (পিটিআই-পি) সঙ্গে জোট গঠনের খবর পরিষ্কার করার পর এই ঘোষণা দেয় পিটিআই। দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভ পালনে জামায়াত-ই-ইসলামী, জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলসহ (জেইউআই-এফ) অন্য দলগুলোকেও পাশে চেয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
গহর আলী খান বলেন, এবারের এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা আমাদের ম্যান্ডেট চুরি হতে দেব না। ম্যান্ডেট পরিবর্তন এবং কারচুপি হয়েছে যারা এমনটা বিশ্বাস করেন আমরা এমন সব রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বিক্ষোভে জনসাধারণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে পিটিআইয়ের দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইমরান খান কেন্দ্রে সরকার গঠনের বিষয়ে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন।
দলের সূত্র জিও নিউজকে জানিয়েছে, ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা জেলে বন্দি। তিনি পিপিপির সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। দলটি ইতিমধ্যেই পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী শাহবাজ শরিফকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ সরকার গঠনের জন্য পিপিপির সঙ্গে যোগাযোগের খবর অস্বীকার করেছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা পিপিপি ও পিএমএল-এনের সঙ্গে আলোচনার বিরুদ্ধে ‘কঠোরভাবে’ পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পিপিপির সঙ্গে সরকার গঠনের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বিরোধী দলে বসতে বলেছেন কিন্তু পিপিপি ও পিএমএল-এনের সঙ্গে জোট করবে না।