সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে এই চুক্তিস্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রস্তাবটি তোলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
পাঁচ বছর মেয়াদি প্রস্তাবিত এ চুক্তির আওতায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পঠানো হবে।
এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এ চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হলে দুই দেশের যৌথ কমিটি থাকবে। কমিটি বিষয়টি দেখাশোনা করবে। কর্মী যারা যাবে তারা প্রথমে দুই বছরের জন্য যাবে। পরে নবায়ন করে মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো যাবে। এরপর আরো এক বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে। এভাবে মোট পাঁচ বছর মেয়াদে কর্মী পাঠানো হবে।”
তিনি জানান, চুক্তির আওতায় কর্মীদের কর্মঘণ্টা হবে ৮ ঘণ্টা এবং এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি পাবে। যে কোম্পানি তাকে নেবে তারাই তার যাওয়া-আসার ভাড়া দেবে। কর্মীদের বেতন হবে ৯০০ রিংগিত (মালয়েশীয় মুদ্রা) যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
সচিব আরো জানান, কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে জেলা ও নারী কোটা অনুসরণ করা হবে। পাঠানোর আগে কর্মীদের ১০ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কর্মীদের খরচ হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
মন্ত্রিসভার সোমবারের বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন-২০১২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বিদ্যমান আইনের কিছু সংশোধনী ও হালনাগাদ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা বলেন, “বর্তমানে এ আদালতে একজন চেয়ারম্যানসহ তিন জন সদস্য রাখার বিধান রয়েছে। সংশোধিত আইনে আরো দুই জন সদস্য যুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগকারী নারী হলে আদালতে একজন নারী সদস্যকে রাখা হবে।
তিনি জানান, এ আইন অনুযায়ী মিথ্যা অভিযোগ দিলে এবং অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। অপরাধীর জরিমানার পরিমাণও বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া, চিফ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন মনে করলে মামলাটি অন্য আদালতে নিতে পারবেন –এমন বিধান রাখা হয়েছে সংশোধিত আইনে।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় সমবায় নীতি-২০১২ এর খসড়ারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান সচিব। সমবায় মালিকানার বিকাশের জন্য এ আইন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।