পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ঘোষিত ২৬৪ আসনের ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ১০১টি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই প্রার্থীদের ৯৩ জনই কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও পাকিস্তানের রাজনীতিতে পিটিআইয়ের শক্ত অবস্থান ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে, যা একটি নতুন মেরুকরণের সামনে দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তানের রাজনীতিকে।
তবে এখনো রয়ে গেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। নাটকীয়তার পর চলছে নাটকীয়তা। নির্বাচনের পর দেশটিতে এক স্বতন্ত্রপ্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ওই প্রার্থীর নাম চৌধুরি মুহাম্মদ আদনান। তাকে রাওয়ালপিন্ডিতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এনএ-৫৭ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা খাচেরি চক এলাকায় আদনানকে গুলি করেছিল। তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) প্রধান মুহসিন দাওয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নির্বাচনের ফল বিলম্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালে গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে।