ওল্ডডিওএইচএসের বড় জয়

ওল্ডডিওএইচএসের বড় জয়

বাংলাদেশ বিমান ক্রিকেট দলের সেকেলে সময়টা এখন নেই। সোনালী অতীত হয়ে আছে। এখন দল গড়ে প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকার জন্যই। বর্ষিয়ান সব ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে খুব একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারে না। রোববার ওল্ডডিওএইচএসের কাছে পাত্তাই পায়নি। ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে।

ওল্ডডিওএইচএস আগের রাউন্ডেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল ছিলো। অবস্থানটা আরও মজবুত করলো পঞ্চম রাউন্ডের খেলায় বড় জয় দিয়ে। ওল্ডডিওএইচএসকে আগে ব্যাট করতে পাঠানো বিমানের জন্য ভুলই ছিলো। তাদের নির্বিষ বোলিংয়ের বিপক্ষে ওল্ডডিওএইচএসের ওপেনিং জুটি ১১২ রান তোলে। ইনিংসের ভিতটা ওখানেই তৈরি হয়। জিয়াউর রহমান ৬৪ রানে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরার পর তাদের পাকিস্তানী ওপেনার সাঈদ আনোয়ারও টিকতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৪৬ রানে। মোহাম্মদ আশরাফুল ৩২ বলে কুৎসিত ১৫ রান করে বাজে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। পরে শুভাগত হোম চৌধুরী ৫৪, ফয়সাল হোসেন ৩২ ও নুরুল হাসান ২৮ রান যোগ করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৭ রানের পুঁজি পেয়ে যায় ওল্ডডিওএইচএস। বিমানের কাসিফ সিদ্দিক তিনটি, রেজাউল করিম ও সানওয়ার হোসেন দুটি করে উইকেট নেন।

ওল্ডডিওএইচএসের অতবড় স্কোর তাড়া করা বিমানের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষপর্যন্ত আল-আউট হয় ১৩২ রানে। আশরাফুল ব্যাটে না পারলেও বল হাতে দুর্বার হয়ে উঠেন। বিমানের ইনিংসে ফাটল সাত রানে তাদের ভারতীয় ওপেনার অভিশেক মিত্রকে সাজঘরে পাঠিয়ে। এক এক করে ওপরের তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করেন আশরাফুল। পর পর উইকেট হারালে একা ফয়সাল ইকবাল বিপর্যস্ত ইনিংসটাকে বয়ে নিতে পারছিলেন না। এই পাকিস্তানীও ৬৮ রান তুলে আশরাফুলের শিকার হয়েছেন। বিমানের বাকিরা উল্লেখ করার মতো কোন রানই করতে পারেননি।

সম্প্রতি বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভিরিয়ে বেশ ভালোই রান তুলছেন সূর্য তরুণ। কিন্তু কেন যেন জয়ের দেখা পাচ্ছে না। জুপিটার ঘোষ ৬২, তায়েবুর পারভেজ ৬২, ইমরান উল্লাহ ৩২, খররম মঞ্জুর ২৫ রান করলে বিকেএসপি মাঠে সাত উইকেটে ২৪৪ রান পেয়ে যায় সূর্য তরুণ। কিন্তু শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ওই লক্ষ্যও জয় করে নেয় মেহরাব হোসেন জুনিয়র ৬৪, মাহমুদুল হাসান ৩৮, দীপক জোন ৪৮ ও অধিনায়ক সোহরাওয়ার্দী অপরাজিত ৪২ রান করায়। সূর্য তরুণের ইমরান উল্লাহ তিনটিও গোলাম কিবরিয়া দুটি উইকেট নেন।

এদিকে ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রাইম দোলেশ্বর বাজিমাত করেছে ব্রাদার্সকে তিন উইকেটে হারিয়ে। ইমরান নাজিরের ৫৯, আফতাব আহমেদের ৪২, সোহাইল তানভিরের ৪৭ রানের ইনিংসগুলো নিয়ে আট উইকেটে ২৭৩ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স। এই রানও অক্ষত থাকতে দেয়নি দোলেশ্বর। মিজানুর রহমান ৭৬ ও মানভিন্দর সিং অপরাজিত ৭৬ রান করলে ৪৯.২ ওভারে ২৭৪ রানের টার্গেট পুরণ করে ফেলে দোলেশ্বর।

খেলাধূলা