ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ব্রিটেনে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই পারমাণবিক বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়ে তিনগুণ শক্তিশালী। মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনের গোপন নথির বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়। স্নায়ুযুদ্ধ ঘিরে মস্কোর তরফ থেকে হুমকির অবসান হলে ২০০৮ সালে ব্রিটেন থেকে পারমাণবিক বোমা সরিয়ে নেয় ওয়াশিংটন।
তবে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে পশ্চিমাদের সঙ্গে মস্কোর উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো তৎপরতা জোরদার করে। সামরিক ব্যয় কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় ইউরোপ ও আমেরিকা। একই সঙ্গে বিভিন্ন পারমাণবিক কেন্দ্র আধুনিকায়নের দিকে মনোযোগ দেয় তারা। এরই অংশ হিসেবে ব্রিটেনে ফিরছে মার্কিন পারমাণবিক বোমা।
টেলিগ্রাফ বলছে, যুক্তরাজ্যের সাফোকের বিমানঘাঁটি আরএএফ লেকেনহেথে পারমাণবিক বোমা মোতায়েন করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য সেখানে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের চুক্তি করেছে। এই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন বাহিনী জাপানের হিরোশিমায় যে পারমাণবিক বোমা ফেলেছে তার চেয়ে তিনগুণ বেশি শক্তিশালী। এর আগে স্নায়ুযুদ্ধের সময় এই ঘাঁটিতে পারমাণবিক বোমা মোতায়েন করেছিল মার্কিন সরকার।
তবে ব্রিটেনে পুনরায় মার্কিন পারমাণবিক বোমা মোতায়েনের পরিকল্পনা ভালোভাবে নেয়নি রাশিয়া। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনাকে উসকানি হিসেবে দেখবে মস্কো। একই সঙ্গে তা মোকাবিলায় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেমলিন।