১৯৯৫ সালের ২০ অক্টোবর, ১৭ বছর আগের কথা। এমনই এক দিনে বলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক আদিত্য চোপড়া ভারতবাসীকে এক অসাধারণ প্রেমের ছবি উপহার দিয়েছিলেন।
সিনেমাটি দেখেনি এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম।
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটির মাধ্যমে তিনি সারা ভারতবাসীসহ বিশ্ববাসীকে অন্যরকম কিছু উপহার দিয়েছেন। সিনেমাটির মাধ্যমেই কিং অব রোমান্স হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। সিনেমাটি দর্শকদের ভালবাসার গুণে ভারতে ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর ১৭ বছর পূর্ণ করেছে এবং সফলভাবে সিনেমাহলে চলছে।
সিনেমাটি ভারতে ৮৭৪ সপ্তাহ অর্থ্যাৎ ১৭ বছর ধরে চলছে। এখনও মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দিরের থিয়েটারে সকাল ১১.৩০ মিনিটের প্রত্যেকটি শো হাউসফুল যায়, যা গোটা বলিউডের ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রিতে বিরল ঘটনা।
এর আগে ‘শোলে’ সিনেমাটি দীর্ঘ ৫ বছর মিনারভা থিয়েটারে সফলভাবে চলেছে এবং দিলীপ কুমারের ‘মোঘল-ই-আযম’৬ বছর ধরে চলেছে । কিন্তু কোনটিই ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর সাথে তুলনা যোগ্য নয়।
‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটি যারা দেখছে তারা কি এর আগে দেখেনি? না সবাই দেখেছে। জিজ্ঞাসা করলে কেউ হয়ত ১০০ বার, কেউ হয়ত ২০০ বার দেখেছে তারপরও বড় কথা তারা সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখেছে।
শুধু তাই নয় তারা সিনেমাটির প্রত্যেকটি দৃশ্য উপভোগ করছে।
কি আছে এই সিনেমাটিতে? সিনেমাটি মূলত সামাজের ও কয়েকটি পরিবারের মধ্যে কাহিনী নিয়ে নিয়ে নির্মিত হয়েছে। যেখানে রাজ ও সিমরান দুজন দুজনকে প্রচন্ড ভালবাসে, যা তারা শেষ পর্যন্ত বিয়েতে রূপান্তরিত করে।
সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে ভালবাসার শক্ত বন্ধনের মাধ্যমে তারা অসাধ্যকেউ সাধন করে দিয়েছেন। আর সিনেমাটিতে রাজ চরিত্রে শাহরুখ ও সিমরান চরিত্রে কাজল তাদের অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে প্রত্যেকটি দৃশ্যকে বাস্তবতায় রূপদান করেছেন।
সিনেমাটিতে রাজ ও সিমরানের চরিত্র এততাই ফুটে উঠেছে যা মানুষকে বারবার সিনেমাটি দেখতে উৎসাহিত করে । আর তাই হয়ত সিনেমাটি ১৭ বছর অবধি আজও থিয়েটারে সফলভাবে চলছে এবং দর্শকরা প্রত্যেকটি দৃশ্যে উৎফুল্ল হয়ে উঠছেন।
সিনেমাটির মাধ্যমে আদিত্য চোপড়ার জনপ্রিয়তা যতগুণ বেড়েছে তার থেকেও বহুগুণে সাফল্যর উচ্চ শিখরে উঠে গেছেন শাহরুখ খান। বলা হয়, শাহরুখের আজকের যে নাম, খ্যাতি, টাইটেল সবকিছুই শুরু হয়েছে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটি মুক্তি পাবার পর।
সিনেমাটিতে সবাই তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘কিং অব রোমান্স’ উপাধি দিয়েছেন।
সমালোচকরা বলেন, পৃথিবীতে বহু ধরনের মানুষ রয়েছেন এবং ভালবাসা সম্পর্কে তাদের ধারণাও একেকজনের একেক রকম। কিন্তু ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটি দেখার পর সবাই ভালবাসাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন এবং বিভিন্ন ধারণা তৈরি হয়েছে।
‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমাটি তার অদ্ভুত আকর্ষণের মাধ্যমেই পুরো দুনিয়ার মানুষকে আকর্ষিত করে রেখেছে ১৭ বছর ধরে।
আশা করা যায় আগামী বছর গুলোতেও সিনেমাটি তার রেকর্ড অব্যাহত রেখে সিনেমা জগতে সবশেষে উচূঁ স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে।