বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এদের মধ্যে একজন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিদর্শক।
রোববার দিনব্যাপী অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের (ভারপ্রাপ্ত) সহযোগিতায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন দুদকের সহকারী পরিদর্শক মফিজুর রহমান, বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র রাফায়েত সানি, আব্দুল্লাহ আল মামুন (ঢাবির ইংরেজি বিভাগ থেকে পাস করে এখন ইভিনিং এমবিএ করছেন), অমিতাভ চৌধুরী অমিত (ঢাবি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ষষ্ঠ সেমিস্টার), নূরল হূদা ওরফে ডলার মাহমুদ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পাস করেছেন, থাকেন জিয়া হলের ১০৩ নম্বর কক্ষে)।
এর আগে শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত একই চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তাদের মধ্যে ঢাবির মাহবুবুল ইসলাম সুমন (উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, ৪র্থ বর্ষ) ও জাহিদুল ইসলামকে (অর্থনীতি) ছেড়ে দেওয়া হয়। শনিবার এ দুজনের সহযোগিতায় বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আমজাদ আলী জানিয়েছেন, আটক জালিয়াত চক্রের মূল হোতা হচ্ছে দুদকের মফিজুর রহমান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক রুবেল বিশ্বাস এখনো ডিবি হেফাজতে আছেন।
প্রক্টর জানান, গত শনিবারের ঘটনার সূত্র ধরে জালিয়াত চক্রের এই সদস্যদের আটক করা হয়। কীভাবে তারা জালিয়াতি করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই চক্র পরীক্ষার্থীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিশেষ এক ধরনের ঘড়ি দেন। এই ঘড়ির মাধ্যমে এসএমএস আদান-প্রদান করা যায়। পরীক্ষার্থী এই ঘড়ি পরে হলে ঢুকলে চক্রের সদস্যরা এসএমএসের মাধ্যমে উত্তর পাঠিয়ে দেন। এভাবে তারা জালিয়াতি করেন। ঘড়িটির দাম ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা বলে প্রক্টর জানান।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু এক ছাত্রকে ঢাবির জিয়া হলে আটকে রেখে টাকা আদায়কালে ডিবির হাতে তিনজন আটক হন। পরে আরো ৫ জনকে আটক করা হয়।