রফিকুল আমিনের অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৬৭ লাখ টাকা

রফিকুল আমিনের অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৬৭ লাখ টাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার জানিয়েছেন, ডেসটিনি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সরানোর ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রফিকুল আমিন।
তিনি জানান, হাজার হাজার ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে নেয়া সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি টাকা সরানোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন ডেসটিনি গ্র�পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।রিমান্ডের প্রথম দিন বুধবার তারা এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানান মোজাহার আলী।তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।ডেসটিনি গ্র�পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত দল।এরআগে বিকেলে তাদের শাহবাগ থানা থেকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। মানি লন্ডারিং আইনকে বিবেচনা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে যার মামলা নম্বর ৩৩ বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।রিমান্ডের আগে মামলা প্রসঙ্গে দুদকের এই উপ-পরিচালক বলেন, ডেসটিনির বিরুদ্ধে অভিযোগের পর আমাদের অনুসন্ধান কাজের জন্য গত জুলাই মাসে এমডি রফিকুল আমিন, চেয়ারম্যান মো. হোসেন ও প্রেসিডেন্ট লে. জে. (অব.) হারুন-অর-রশিদসহ মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক।
তিনি জানান, এরপর গত ১১ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর আমাদের আপিলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে আদালত। এরপর উক্ত দুটি মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ৯ দিন করে দুজনের মোট ১৮ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে।
অর্থ পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, �অর্থ পাচারের বিষয়টি আমরা জোরালোভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।�
মোজাহার আরো বলেন, ডেসটিনি গ্র�পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে রফিকুলের অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৬৭ লাখ টাকা আসতো। এর মধ্যে কিছু অকার্যকর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপ-পরিচালক মো. মোজাহার সরদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দুদক অনুসন্ধান ও তদন্ত দল এই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. বেনজীর আহমেদ, মো. মাহমুদ হাসান, এস এম এম আখতার হামিদ ভূঁইয়া ও উপ-সহকারী পরিচালক  মো. তৌফিকুল ইসলাম।

অর্থ বাণিজ্য