ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সেখান ২৩ হাজার ৭০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আক্রমণে ফিলিস্তিনি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৩,৭০৮ জনে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ১৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং ২৪৮ জনকে আহত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজার দেইর আল বালাহ শহরের পশ্চিমে আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সেখানে ১১ জনকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী।
এদিকে, গাজা স্ট্রিপের দক্ষিণে খান ইউনিস এবং কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকায় আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল, সূত্রটি আরও জানিয়েছে।
জাতিসংঘ অফিসের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) এর সর্বশেষ গাজা পরিস্থিতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর গাজায় সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। যার ফলে সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য খাদ্য, পানি ও ওষুধ পাঠানো গেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ডিসেম্বরের তুলনায় নতুন বছর শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তর গাজায় মানবিক সহায়তা মিশনকে মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ করেছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার মধ্যে সম্প্রতি চতুর্থবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বরাবরের মতো ব্লিঙ্কেনের এই সফরে বেশিরভাগ মনোযোগ ছিল ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের দিকে। ইসরায়েলকে থামাতে দেশটি কী পদক্ষেপ নেয়, সেটি জানতে সবাই আগ্রহী। কারণ ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় ২৩ হাজার ৩৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। সেখানে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এমন উদ্বেগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ দেখতে চায় বিশ্ব। তবে এই সফরে তেমন কোনো ফল বয়ে আনিনি।
তেল আবিবে দাঁড়িয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে আছে। তবে তিনি ইসরায়েলকে গাজায় বেসামরিক হতাহতের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, সেখানে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি রয়ে গেছে।