পাকিস্তানের সাথে সহজ ভিসা চুক্তি সম্পন্ন করার পর এবার বাংলাদেশের সাথে সহজতর ভিসা সুবিধার প্রচলন করতে চায় ভারত। এর ফলে দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক বোঝাপড়া যেমন বাড়বে, তেমনি পর্যটন শিল্প ও ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।
অক্টোবর মাসের ১৬ ও ১৭ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বিশেষ বৈঠকে এ বিষয়টি উঠে আসে। যতো দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়াটি শুরু করতে সম্মত হন বৈঠকে উপস্থিত দু’দেশের প্রতিনিধিরা।
ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একজন স্বরাষ্ট্র কর্মকর্তা জানান, দুই দেশের নাগরিক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রোগী ও অন্যদের ভিসা অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে যুগ্ম-সচিবরা বৈঠকে একত্রিত হন।
সাধারণ ভিসার জন্য বিভিন্ন মেয়াদের সময়সীমা নির্ধারণ করার পাশাপাশি এতে ব্যবসায়ীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা, বৃদ্ধ এবং শিশুদের জন্য তাৎক্ষণিক ভিসা সুবিধা, অধিক সুবিধাসহ মেডিক্যাল ভিসা, বর্ধিত মেয়াদসহ ট্রানজিট ভিসা ইত্যাদি প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয় উক্ত বৈঠকে।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের সাথে একটি উন্মুক্ত ভিসা চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো পর্যটক ভিসা ও তীর্থযাত্রা ভিসা, ব্যবসায়ীদের জন্য পৃথক ভিসা এবং বিশেষ সুবিধাসহ ভ্রমণ ভিসা চালু হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা রিসালদার মোসলেউদ্দিনসহ বঙ্গবন্ধুর অন্য হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতের সাহায্য কামনা করেন।
বৈঠক শেষে শুক্রবার প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্বাস্তু এবং অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে দুই পক্ষই সাহায্য-সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়।”
দুইদিনব্যাপী এই বৈঠকে সন্ত্রাস দমন, মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় জিরো লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে দ্রুত ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানা যায়।
যৌথ বিবৃতি থেকে আরও জানা যায়, বাংলাদেশের পুলিশকে ভারতীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং দেয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।