বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া আছে। এরমধ্যে দেশি এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের খেলোয়াড়দের কিছু কিছু বকেয়া পরিশোধ করেছে বলে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জেনেছেন।
কিন্তু এ দুদিনে তারা কত টাকা পরিশোধ করতে পারবেন সেটাই দেখার বিষয়। একে তো হাতে সময় কম, তারওপর ঈদের আগে টাকার যোগান দেওয়াও চ্যালেঞ্জিং। অবশ্য দেশি ক্রিকেটারদের সবাইকে যে চুক্তির পুরো টাকা দেওয়া হবে তেমনটা ভাবার কোন কারণ নেই।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল যেমন আইকন ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে টাকা কমিয়ে দিয়েছে। কোন আইকন ক্রিকেটারকেই দুই লাখ ১০ হাজার ডলার দেওয়া হচ্ছে না। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আইকন ক্রিকেটারদের জন্য অলিখিত ভাবে এক লাখ ১০ হাজার ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। দু’একজন আরেকটু বেশি পেলেও পেতে পারেন।
জাতীয় দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে দুই লাখ ডলারে নিলামে দলে নিয়েছে খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। তিনি পেয়েছেন ৬৮ রাখ টাকা। ট্যাক্স বাদে এখনও ৬৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা তার। কিন্তু তিনি আর কোন টাকা নাও পেতে পারেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন টাকা প্রাপ্তির কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতে এখন যদি কিছু টাকা তুলতে পারলে তা বোনাস হবে নাসিরের। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সূত্র জানিয়েছে, বেশিরভাগ দেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সমঝোতার দিকে এগুচ্ছে।
সমস্যা হলো অনেক ক্রিকেটার তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে ভেতরে ভেতরে সমঝোতা করার পর বাইরে এসে বলছে তারা টাকা পায়নি। সমঝোতার ভিত্তিতে তারা সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক প্রাপ্তি স্বীকার করে কাগজপত্রেও সই করেছে।
এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বলতে তারা তাদের বিদেশি ক্রিকেটারদের সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছে। কিন্তু এখনও ছয়জন ক্রিকেটার সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে টাকা পাবে। মুত্তিয়া মুরালিধরন ছয় ম্যাচ খেলে চলে গেছেন। তাকে ম্যাচ হিসেব করে টাকা দেওয়া হলেও তিনি চুক্তির পুরোটা দাবি করছেন। আয়ারল্যান্ডের নিয়াল ও’ব্রায়নের হিসেবটাও একই রকম। এভাবে বকেয়া দাবি করা ছয় বিদেশি ক্রিকেটারের প্রায় সবার সঙ্গেই কোন না কোন সমঝোতা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এখন মূলত ক্রিকেটারদের এজেন্টের দিক থেকে বকেয়ার দাবি তোলা হচ্ছে বলে বিসিবির নির্ভরযোগ্য একজন পরিচালক জানান।
বিপিএল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হবে বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির ২৪ অক্টোবরের সভায়। তার ভেতরে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে খেলোয়াড়দের পরিশ্রমিকের কাগজপত্র পরিচ্ছন্ন করতে হবে।