সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় : শেখ পরশ

সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় : শেখ পরশ

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আওয়ামী লীগ ঘোষিত নির্বাচনী ইশতিহারে অত্যন্ত বাস্তবমুখী একটি পরিপক্ক ইশতেহার। এখানে কোনো ভাওতাবাজির স্থান নেই। এক কথা বললাম কিন্তু করতে পারলাম না শুধু জনগণকে ঠুনকো আশা দিলাম এই রকম ইশতেহার বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেয় নাই বা কখনো দেয় না। ইশতেহারে যা ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিই আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব। গতবারের মতো ইশতেহারের প্রতিটি আশ্বাস আওয়ামী লীগ সরকার এবারও পূরণ করবে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন এই ইশতেহারের মাধ্যমে ঘটেছে। এটি একটি জনহিতকর ইশতেহার।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ওয়ার্ড নং-৩৩, থানা-গাছা, বটতলা এলাকায় গাজীপুর-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দুটি কথা বলতে চাই। আমাদের দরকার একটা অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক। কোন বিশেষ দল নির্বাচনে আসলো বা না আসলো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না, আমাদের বিবেচনার বিষয়ও না। কিন্তু আপনাদেরই নির্ধারণ করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা কি কি করতে পারি। সকলেরই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। আমরা কাউকে বাধা দিবো না। আপনাদের সহনশীল হতে হবে এবং সকলকে ভোট কেন্দ্রে আসতে উৎসাহ দিতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে অন্যের ভোট দেওয়ার পরিবেশ রক্ষা করা। বিশৃঙ্খলা এবং হট্টোগোল সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন বলেন, সবারই নির্বাচন করার অধিকার থাকলেও বিএনপির ব্যাপারে আমাদের কোন ছাড় নাই। যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের বাংলাদেশে নির্বাচন করার অধিকার নাই। যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই বিশ্বাস করে না তাদের কি দরকার বাংলাদেশে নির্বাচন করা। তারা পাকিস্তানে গিয়ে নির্বাচন করুক। বিএনপির মতো দেশবিরোধী সংগঠনকে আমরা এদেশে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানে বিতাড়িত করতে চাই। বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই তাদের নিজেদের কারণে। দুটি কারণ-প্রথমত তাদের নিজস্ব দুর্বলতা। দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব। নেতৃত্ব কে দিবে? দ্বিতীয়ত; তারা ভোটে যেতে সাহস পায় না। কারণ তারা যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে এখনও মারছে। একারণে তাদের নির্বাচনে আসার কোন আগ্রহ নাই এবং এদেশের জনগণ তাদেরকে বর্জন করেছে। তারা তা ভালই বুঝতে পারছে। গণমানুষের সম্পদ, গণপরিবহন পুড়িয়ে জনগণের সমর্থন পাওয়া যায় না। তাদের রাজনৈতিক কৌশল আমাদের মতো মানুষের বোধগম্য নয়। কারণ এটা শুধু তারেক জিয়ার মতো সন্ত্রাসী এবং দুর্বৃত্তের মাথা থেকেই এমন উদ্ভট ও নাশকতার মতো রাজনৈতিক কৌশল আসতে পারে। লন্ডন থেকে হুকুম দেয় আর এখানে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। আপনারা দেখেছেন কিভাবে ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও ছেলেকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান আরও বলেন, জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আজকে নির্বাচনী সংস্কারও আওয়ামী লীগ করেছে। ভোটার আইডি হালনাগাদ করে ১ কোটি ভুয়া ভোটার বাদ দেওয়া, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, ইভিএম, ভোটার আইডি, এই সব কিছু আওয়ামী লীগের অবদান। এখন জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে তারা নির্বাচিত করবে। বাংলাদেশের মানুষ বুঝে তাদের ভাল-মন্দ এবং কাদেরকে ভোট দিলে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। তিনি আরও বলেন-আওয়ামী লীগ কোনো অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী দল না। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেই এই সংগঠন গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগকে এভাবে অগ্নিসন্ত্রাসী আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো দিনই উৎখাত করা সম্ভব না। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ: শিক্ষা-দীক্ষা এবং প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ধরে রাখতে গাজীপুর-২ আসনের জনগণ ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে বলে বিশ্বাস করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ কামরুল আহসান সরকার রাসেল, গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ সেলিম আজাদ, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ সুমন আহমেদ শান্ত বাবু, মোঃ আলমগীর হোসেনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

রাজনীতি শীর্ষ খবর