জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খুঁজতে নাফিসের পরিবারের সদস্যদের নজরদারিতে রেখেছে গোয়েন্দা পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা গুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ভবনে বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আটক নাফিস দেশে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা, এমন বিষয়ে ক্লু পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ছাড়াও র্যাব, এনএসআই ও ডিজিএফআই এর সদস্যরা সাদা পোশাকে উত্তর যাত্রাবাড়ীর নাফিসের বাসার আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। নাফিস কিশোর কাল, যৌবন আর ইউনিভাসিটিতে কোন ধরনের সহপাঠিদের সাথে চলাফেরা করতো সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছে তারা।
শুক্রবার দিনভর নাফিসের উত্তর যাত্রাবাড়ীর বাসায় বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদ কর্মীদের আসা যাওয়া ছিলো, মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন গোয়েন্দা সদস্যরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে।
নাফিসের ভগ্নিপতি ডা. তৌফিক আলম সিদ্দিকী জানান, শুক্রবার থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা বাড়ির আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে তারা এখন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করেনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, নাফিস দেশে থাকা অবস্থায় কোনো জঙ্গি ও উগ্রপন্থি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশ ত্যাগের সময় ও জানুয়ারি মাসের আগে নাফিস কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো এবং মিশতো সেটাই মূলত খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার বন্ধুদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সানোয়ার হোসেন নাফিসের উত্তর যাত্রাবাড়ির বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের কাছে নাফিস কেমন ছিল তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন।
নাফিসের বাবা ন্যাশনাল ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ টেলিফোনে জানান, আমার ছেলে দেশে থাকাকালে কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে দেশে থাকা অবস্থায় লেখাপড়া ছাড়া আর কোনো কাজ করতো না। বাসা আর ক্যাম্পাসই ছিল তার গন্তব্য।
তিনি আরো বলেন, যে ছেলে বাসার ছাদে যেতেও ভয় পেতো সে ছেলের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা অসম্ভব। তাকে ফাঁসানোর হয়েছে বলে আবারও অভিযোগ করেন ।
এদিকে শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার যোগাযোগ হয়েছে। তাদের অনুরোধে নাফিসের পরিবারের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।