ভোলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগ। গত ৭ দিনে এ পর্যন্ত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ শিশু।
এদিকে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অর্ধশতাধিক শিশু। প্রতিদিনই শিশু হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
অপরদিকে, হাসপাতালে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে শিশু মারা গেলেও চিকিৎসকরা বলছেন, ঠাণ্ডা ও মাতৃজনিত রোগে শিশুরা মারা গেছে।
ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৭ জন, ৯ জানুয়ারি ৭ জন, ১০ জানুয়ারি ৪ জন, ১১ জানুয়ারি ৩ জন, ১২ জানুয়ারি ৭জন, ১৩ জানুয়ারি ৪ জন ও ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪ জনসহ মোট ৩৬ জন ভর্তি হয়েছে।
এ ছাড়া ভোলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে কমপক্ষে আরও ২০ থেতেক ৩০ জন।
একই সপ্তাহে ভোলা সদর হাসপাতালে ৭ দিনে মারা গেছে ৪ জন শিশু। এদের মধ্যে ১৩ জানুয়ারি ২ জন, ১২ জানুয়ারি ১ জন ও ১১ জানুয়ারি ১ জন শিশু।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের কালুপুরের মন্টি (৩ বছর), লালমোহনের চরভূতা গ্রামের শাহাজনাজ বেগমের ২ ঘণ্টার শিশু এবং কুলসুম ও রোকসনার ২ ঘণ্টা ও ৩ দিনের শিশু।
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকসানা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিদিনিই শীতজনিত বিভিন্ন রোগে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মারা গেছে বিভিন্ন বয়সের ৪ জন শিশু।’
এ ব্যাপারে ভোলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শরিফ আহমেদ বলেন, ‘শুধু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু মারা যায়নি। এরা মাতৃজনিত ও ঠাণ্ডাজনিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।’
তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে।