নাফিস ইস্যুতে সক্রিয় সরকার ওয়াশিংটনে বিচার ও পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে দূতাবাসের বৈঠক

নাফিস ইস্যুতে সক্রিয় সরকার ওয়াশিংটনে বিচার ও পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে দূতাবাসের বৈঠক

নিউনিয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ভবন বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী সন্দেহে  আটক হওয়া নাফিসকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। বিষয়টিতে সক্রিয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস। রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিকদের একটি প্রতিনিধি দল স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে বৈঠক করেছে দেশটির পররাষ্ট্র ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

বৈঠকের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা পূজা ঝুনঝুনওয়ালা। গ্রেফতার হওয়া রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের বিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে নাফিসের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চেয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রদূত মির্জা একরামুল কাদের।

সূত্র জানায় ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রে দূতাবাস এসব উদ্যোগ নিয়েছে।

শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিদেশি নাগরিকদের সম্মাননা জানানো প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিও সরকারের উদ্যোগের কথা জানান।

দীপু মনি বলেন, “আগে নাফিসের নাগরিকত্ব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে সরকার। সে ক্ষেত্রে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে সে বাংলাদেশি নাগরিক না বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক।”

তিনি বলেন, “মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগের সব বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পাশে দাঁড়িয়েছে, নাফিসের ক্ষেত্রেও সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ কাজী রেজোয়ানুল আহসান নাফিস (২১)। তবে নাফিসের পরিবার ও এলাকাবাসী দাবি করেছেন, নাফিস নিরীহ ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে। তাকে ইচ্ছে করেই এ ঘটনায় ফাঁসানো হতে পারে। হয়তবা বোকা নাফিসকে বড় ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার বানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ