সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্রের লাশ শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টায় লাশ পৌঁছানোর বিষয়টি মোবাইলফোনে নিশ্চিত করেন লাশ নিয়ে যাওয়া সহপাঠী বন্ধুরা।
এর আগে বাদ জুময়া মেডিকেল কলেজ মসজিদ প্রাঙ্গনে নিহত কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র শহিদুল ইসলাম ও ৫ম বর্ষের মঈন উদ্দিন খান স্বপনের প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক খান মো. বিলাল, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অছুল আহমদ চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ, উপ-পরিচালক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিলেট বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, শামসুদ্দিন মেডিকেল হোস্টেল সুপার ডা. আবু ইউসুফ, শিশুরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মনজীর আলী, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। জানাজায় মেডিকেল কলেজের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় দুটি সড়কপথে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন তাদের সহপাঠী বন্ধুরা। নিহত মঈন উদ্দিন খান স্বপনের বাড়ি ফেনী জেলায় এবং শহিদুলের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে।
শনিবার বেলা সকাল ৮টায় লক্ষ্মীপুর বিরাহিমপুর গ্রামে শহীদুল ইসলামের নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা।
এদিকে নিহত স্বপনের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ ফেনী সদরের শাহীন একাডমি মাঠে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লক্ষিহারা গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট নতুনবাজারে একজন পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মেডিকেল কলেজ ছাত্রদের বাস উল্টে নিহত হন দুই মেডিকেল শিক্ষার্থী।
এদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হওয়া ৪৮ তম ব্যাচের মামুনুর রশীদ ও মিজানুর রহমানকে শুক্রবার সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।