জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

‘শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ স্লোগান সামনে রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
জাপার নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখযোগ্য রয়েছে- প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু, ঢাকা থেকে ৫০ শতাংশ সদরদপ্তর স্থানান্তর, নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সরকারি প্রভাবমুক্ত রাখা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করা।
এছাড়া দলটির ইশতেহারে আছে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন, কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন পাস না করা, ইসলামিক কমিশন গঠন, বিশ্ব ইজতেমার জন্য স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ডের আইন করা এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়-হবে দেশের পররাষ্ট্রনীতি।
পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। দেশে বিদ্যমান ৮টি বিভাগকে ৮টি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। ৮টি প্রদেশের নাম হবে- উত্তরবঙ্গ প্রদেশ, বরেণ্য প্রদেশ, জাহাঙ্গীরনগর প্রদেশ, জালালাবাদ প্রদেশ, জাহানাবাদ প্রদেশ, চন্দ্রদীপ প্রদেশ, ময়নামতি প্রদেশ এবং চট্টলা প্রদেশ।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দুই স্তরবিশিষ্ট সরকার কাঠামো থাকবে। এক কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হবে ফেডারেল সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারে সিদ্ধান্ত থাকবে ৩০০ আসন বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ এবং দুই প্রাদেশিক সরকার। প্রাদেশিক সরকারের থাকবে প্রাদেশিক সংসদ। প্রতি উপজেলা কিংবা থানাকে প্রাদেশিক সরকারের একেকটি আসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যদিও এটা দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটা আমূল সংস্কারের বিষয়, তথাপিও আমরা মনে করি পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে প্রাদেশিক ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা সম্পর্কিত একটি রূপরেখা আমরা দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করব। এ ছাড়া ঢাকা শহর থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সদর দপ্তর প্রাদেশিক রাজধানীতে স্থানান্তর করা হবে।
গত ১৭ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। নানা নাটকীয়তার পর ওই দিন নির্বাচনে অংশগ্রহণের চূড়ান্ত ঘোষণা দেয় জাতীয় পার্টি। এবার এককভাবে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল দলটি। তবে ২৬টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করেছে তারা। ইতোমধ্যে ১৬টি আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর