রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে নাশকতার এক দিন পার না হতেই এবার দিনাজপুরের বিরামপুরে রেললাইনে নাশকতা করেছে দুর্বৃত্তরা। মধ্যরাতে লাইনের ওপর স্লিপার রেখে তাতে আগুন ধরিয়ে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিতের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তবে আনসার ও গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী ট্রেন ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিরামপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণ সিগনালের কাছাকাছি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এক সপ্তাহ আগেও বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছিল ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। সেদিন রাতে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের প্রধানপাড়া দোলা এলাকায় ৭২টি ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করছিল দুর্বৃত্তরা। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছিল ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি।
মঙ্গলবার রাতের ঘটনা বর্ণনা করে স্থানীয়রা জানান, রাতে বিরামপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণ সিগনালে লাইনের ওপর স্লিপার রেখে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিতের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। খুলনাগামী ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ওই এলাকার কাছাকাছি এলে আনসার সদস্যরা ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এতে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রীরা।
বিরামপুর রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইনের ওপরে রাখা স্লিপারগুলো সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
এর আগেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনে নাশকতার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে নীলফামারীর ডোমারে রেললাইনের ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা। এলাকাবাসীর কারণে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছিল ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেন।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে নারী ও শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়। পুড়ে ছাই হয় ট্রেনটির তিনটি বগি।