নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ঋণ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে এনবিএল সিকিউরিটিজ এবং রোকসানা আক্তারের বিরুদ্ধে আবারো তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি।
বৃহস্পতিবার জারি করা একটি আদেশের মাধ্যমে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন এসইসি’র পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং উপ-পরিচালক ফকরুল ইসলাম মজুমদার।
প্রসঙ্গত, রোকসানা আক্তার পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত এসইসি’র নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়ার স্ত্রী।
গত বছরের জানুয়ারিতে পুঁজিবাজারে ধসের পর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে রোকসানা আক্তারের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদান করার অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার লেনদেন খতিয়ে দেখতে চলতি বছরের ১৯ মার্চ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটির দায়িত্বে ছিলেন এসইসি’র পরিচালক মাহবুব-উর-রহমান ও উপপরিচালক ওহিদুল ইসলাম।
এদিকে বৃহস্পতিবার জারি করা এসইসি’র নির্দেশনায় এনবিএল সিকিউরিটিজ হাউজে রোকসানা আক্তারের বিও হিসাব নম্বর- ১২০৩৯৮০০২৩৫১৮৭৭০ এবং ক্লাইন্ট এ্যাকাউন্ট নম্বর- ০১৮৮৮ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
আর আদেশ জারির পর আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন কমিশনের কাছে দাখিল করতে বলা হয়।
এসইসি’র আদেশে বলা হয়, এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়ার স্ত্রী রোকসানা ইসলামকে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদান করায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জনস্বার্থে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন। এ অবস্থায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ধারা ২১ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩-এর ১৭ক ধারা অনুযায়ী কমিশন সামগ্রিক বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে এসইসি’র ১১ এপ্রিল ২০১০ সালের একইটি জারিকৃত আদেশে (এসইসি/প্রশাসন/৫৩.০০/২০০১-২০০২-২২১২) উলেখ রয়েছে, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিজ বা তার স্বামী/স্ত্রী, পিতা/মাতা, ছেলে/ মেয়ে ও পোষ্যদের নামে প্রাইমারী অথবা সেকেন্ডারি মার্কেটে সিকিউরিটিজ লেনদেন বা লেনদেনে কোনো প্রকার সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। আর প্রজ্ঞাপনটি আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়ার স্বাক্ষরেই ইস্যু করা হয়। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে কবিরের স্ত্রী রোখসানা আখতারের নামে ৪টি বিও হিসাব থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ পুঁজিবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়াকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই দিন এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড কর্তৃক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়ার স্ত্রীকে সীমা অতিক্রম করে মার্জিনঋণ প্রদানের বিষয়ে এসআরআই বিভাগ তদন্ত করে এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।