বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের (সিবিএসপি) শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। তবে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বিশ্বব্যাংক নতুন করে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে কিনা তা অনেকটা অনিশ্চিত।
এমনকি নতুন কোনো ভাবে বিশ্বব্যাংক এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে কিনা তাও চূড়ান্ত হয়নি।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, এ প্রকল্প ধরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে নিজেদের অর্থায়নে প্রকল্প চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ডেপুটি গভর্নর বেগম নাজনীন সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বব্যাংকের কৌশল ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য রাকেশ আস্তানা সফররত বিশ্ব ব্যাংকের ৫ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
এ সময় বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে রাকেশ আস্তানা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে নাজনীন সুলতানা বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এ সময় রাকেশ আস্তানা বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। তবে আমরা দেখেছি, এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট।’’
বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে কিনা প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এই প্রকল্প ধরে রাখার চাহিদা রয়েছে। আমাদের আরো বেশি কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সফররত প্রতিনিধি দল একটি প্রতিবেদন বিশ্বব্যাংক সদর দফতরকে দেবে। যেখানে বেশ কিছু সুপারিশ থাকছে। তারপর এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’
গত ২ অক্টোবর বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকল্প বাস্তবায়ন সরেজমিনে পরিদর্শন শুরু হয়। আর তা শেষ হয় বৃহস্পতিবার। এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের সয়ংক্রিয় সফটওয়্যার যেমন, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি), ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অ্যাপ্লিকেশন, এন্টারপ্রাইজ ড্যাটা ওয়্যারহাউজ (ইডিডাব্লিউ) এবং একটি নিজস্ব সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে এই সিবিএসপি প্রকল্পটি শুরু হয়।