দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রির্জাভ

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রির্জাভ

বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১২ বিলিয়ন ডলার (১২০০ কোটি ডলার) ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো রিজার্ভ এ পরিমাণ হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এতথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বেড়ে যাওয়াতে রিজার্ভ এ পরিমাণ দাঁড়াল। ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা বেশি পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া রপ্তানী আয় বাড়তে থাকা, টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা এবং রেমিটেন্স দেশে পাঠানো সহজ করাতে এটি সম্ভব হয়েছে।

সূত্রমতে, গত মাচে প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাউস (আকু) পেমেন্ট করার পর রিজার্ভ ১০ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছিল। এরপর টানা দেড় মাস পর এপ্রিল মাসে তা আবার ১০ বিলিয়ন হয়। কিন্তু মে মাসে তা আবার নেমে সাড়ে নয় বিলিয়ন ডলার হয়। জুলাই মাসে তা আবার দশ বিলিয়নের ঘরে চলে আসে। আগষ্ট মাসে রিজার্ভ ১১ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়ায় আবার।
সবশেষ গত মাসে আকু পেমেন্ট করার পর প্রথম সপ্তাহে তা এগারো বিলিয়নের নিচে নামে। কিন্তু তার ৫ দিনের মাথায় তা আবার এগারো বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। এরপর থেকে টানা দেড়মাস এগারো বিলিয়নের গড়ে ছিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ। আর বৃহস্পতিবার তা রেকর্ড পরিমাণ দাড়াল।

সূত্র জানিয়েছে, টানা ২২ মাস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে তা ৯ বিলিয়নে নেমে এসেছিলো।

সূত্র বলছে, রির্জাভের ওপর চাপ থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক সেই সময় থেকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ডলার বিক্রি করছে না। একই সঙ্গে আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পণ্য আনা হচ্ছে তা দেখে ডলার দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ডলার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি মাসের শুরু থেকে ডলার কিনতে শুরু করেছে। সবশেষ গতকাল বুধবারও প্রায় ১২ লাখ ডলার কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে একদিকে যেমন রিজার্ভ বাড়ছে। অপরদিকে, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সংগ্রহ করার ফলে আসন্ন ঈদ এবং পূজাতে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট কম থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইতে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ১১৯ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। আগস্টে এসেছে ১১৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। আর সবশেষ হিসাব মতে, সেপ্টেম্বরে এসেছে ১১৭ কোটি ১৮ লাখ ডলার।

তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসে। জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা মোট ১২১ কোটি ডলার পাঠায়।

অর্থ বাণিজ্য