দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে ধারাবাহিকভাবে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম ও মূল্যসূচক কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক কমেছে ২৩ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট এবং লেনদেন ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৪ হাজার ৪৮২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৫৮ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ২৩ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ৪৯৬ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪১৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৭১ কোটি ২৫ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ টাকা।
সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ১৪৩টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ২৮টির, কমেছে ২৫১টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোট ৫ কার্যদিবসের দৈনিক গড় লেনদেনও কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৪৯৯ কোটি ২২ লাখ ২৪ হাজার ২৮৩ টাকা; যেখানে এর আগের সপ্তাহে গড় ছিল এক হাজার ৫৭৪ কোটি ২৫ লাখ ৮৯৪ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন কমেছে ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৫৭ কোটি ৭৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৬৮ কোটি ২ লাখ ৬ হাজার ৪২২টি । সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- বঙ্গজ (১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ দাম বাড়ে), নাভানা সিএনজি (১৭৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ), এমবিএল মি. ফান্ড (৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ), এটলাস বাংলাদেশ (৯ দশমিক ৩১ শতাংশ), গ্রিন ডেল্টা মি. ফান্ড (৯ দশমিক ২১ শতাংশ), ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মি. ফান্ড (৮ দশমিক ১৬ শতাংশ), গ্রামীণ-২ মি. ফান্ড (৮ দশমিক ১৫ শতাংশ), রূপালী ইন্স্যুরেন্স (৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ), অষ্টম আইসিবি (৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ) এবং গ্রামীণ-১ মি. ফান্ড (৭ দশমিক ৮০ শতাংশ)।
অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- আমরা টেকনোলজি (১৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ দাম কমেছে), দেশ বন্ধু পলিমার (১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ), বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল (৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ), ডেল্টা স্পিনিং (৯ দশমিক ২৭ শতাংশ), ফাইন ফুড (৯ দশমিক ২৪ শতাংশ), ইউনিক হোটেল (৯ দশমিক ১৯ শতাংশ), সিএমসি কামাল (৮ দশমিক ৭২ শতাংশ), দ্বিতীয় আইসিবি মি. ফান্ড (৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ), তৃতীয় আইসিবি মি. ফান্ড (৭ দশমিক ৯১ শতাংশ) এবং ঢাকা ডায়িং (৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ)।