ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপির আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আরও দুই পর্বতারোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহত পর্বতারোহীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন শতাধিক মানুষ। মঙ্গলবার সকালে অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য আরও ২০০ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। এ সময় সেখানে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছিল বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
মারাপির মনিটরিং স্টেশনের এক কর্মকর্তা আহমেদ রিফান্দি এএফপিকে বলেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা পর্যন্ত পাঁচবার অগ্ন্যুৎপাত দেখেছেন তিনি।
ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাতের কারণে নিরাপত্তার উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় সোমবার অনুসন্ধান বন্ধ রাখা হয়েছিল।
রোববার দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা দ্বীপের ২ হাজার ৮৯১ মিটার চূড়ায় মাউন্ট মারাপি থেকে আকাশে ছাই উদগিরণ শুরুর মাধ্যমে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। ফলে আগ্নেয়গিরিটির আশপাশের গ্রামগুলো ছাইয়ে ঢেকে যায়। অগ্নুৎপাতের সময় এলাকাটি থেকে ৭৫ জন হাইকারের বেশির ভাগই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
মাউন্ট মারাপি বা ‘আগুনের পর্বত’ নামে পরিচিত এই আগ্নেয়গিরিটি ইন্দোনেশিয়ার ১২৭টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় এবং এটি হাইকারদের মধ্যেও জনপ্রিয়।
জানুয়ারী থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছাই অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এর ট্রেইল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে গত জুনে কিছু ট্রেইল পুনরায় খোলা হয়।
১৯৭৯ সালে, মারাপির সবচেয়ে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তখন ৬০ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।
খবর বিবিসি