নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে এগিয়ে মগবাজার চৌরাস্তায় এসে শেষ হয়েছে ১৮ দলীয় জোটের গণমিছিল।
বুধবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া এ মিছিল মগবাজার পৌছে সোয়া পাঁচটার দিকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকা, জামায়াতের মিয়া গোলাম পরোয়ার, মুজিবুর রহমান, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আব্দুল লতিফ নেজামীসহ ১৮ দলীয় জোটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কেন্দ্রীয় নেতা এ গণমিছিলের নেতৃত্ব দেন।
মিছিল শুরুর আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ব্যারিস্টার মওদুদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশ সফর করা বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলটি যদি মনে করে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনিয়ম করেছে তাহলে ফের পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।”
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, “এ সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।”
এর আগে গণমিছিল উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে নয়াপল্টনে জড়ো হয়।
এর ফলে বিকেল সাড়ে তিনটার মধ্যেই ফকিরেরপুল থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত রাস্তা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। প্রচুর লোক সমাগমের কারণে নয়াপল্টন ছাড়াও বিজয়নগর, ফকিরাপুল, কাকরাইল, শাহজাহনপুর, শান্তিনগর, পুরানা পল্টন এলাকায় যান কমে যায়। দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রেসক্লাব, মালিবাগ, মৌচাক এলাকায় সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজট।
তবে ১৮ দলীয় জোটের গণমিছিল উপলক্ষে এ জমায়েতে জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক শোডাউন দেয়।
১৮ দরীয় জোটের নেতা-কর্মীদের রিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন, নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে পুলিশি হামলা এবং সারাদেশে ১৮ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা সদরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ গণমিছিল আয়োজন করা হয়।
মিছিল শুরুর আগে সমবেত নেতার্কমীদের হুড়োহুড়িতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে দৌড় শুরু করেন। এ সময় রাস্তায় পড়ে ও ধাক্কা খেয়ে অনেকেই আহত হন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে মিছিল শুরু হয়।