সংবাদপত্রের মালিক ও সম্পাদকরা সরকারের কাছে কাগজের সমস্যা সমাধান ও বিজ্ঞাপনের মূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদপত্রের সম্পাদকরা এ তথ্য জানান। বৈঠকে অংশ নেন সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার,মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, আমাদের সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু হাসান শাহরিয়ার ও প্রথমআলোর প্রধান বার্তা সম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি প্রমুখ।
বৈঠকের পর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, “দু’একদিনের মধ্যে অষ্টম ওয়েজেবোর্ড বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য সাংবাদিক-কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা ঘোষণা করা হবে। ওয়েজবোর্ড চেয়ারম্যান দু’একদিনের মধ্যে এটি ঘোষণা করবেন।“
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “কাগজের সমস্যা সমাধান করার ও বিজ্ঞাপনের মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি। সরকারের ইতিবাচক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরার জন্য বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।”
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সম্পাদকরা কাগজের সমস্যা, বিজ্ঞাপনের সমস্যা ও পাওনা টাকাসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।“
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “সরকার ও গণমাধ্যম মিত্র। মিত্রের সঙ্গে ধারবাহিকভাবে বৈঠক করা হবে। সংবাদপত্র ঔপনিবেশিক শাসন, সামরিক স্বৈরতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
“বাংলাদেশ এখনও সাম্প্রদায়িকতার চক্রান্তমুক্ত নয়“ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “রামুর ঘটনায় প্রমাণ করে দেশ এখনও চক্রান্তমুক্ত নয়। গণতন্ত্রের শক্তি জঙ্গী আক্রমণের মূখে। মিডিয়া এসবের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে“ বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।
ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বোড মহার্ঘভাতার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে ওয়েজবোর্ড। দু/একদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি কাজী এবাদুল হককে চেয়ারম্যান করে ওয়েজবোর্ড পর্ষদ গঠন করে সরকার।
ছয় মাসের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এ বোর্ডকে সুপারিশ পেশ করতে হবে