পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত বিশেষ স্কিম বাস্তবায়ন কমিটির তৃতীয় বৈঠক ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে প্রাপ্ত ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগাকরীদের তথ্য পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান র্নিবাহী কর্মকতা সৈয়দ সাজিদ হোসাইন শুক্রবার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হবে। তথ্য পর্যালোচনা করে খুব শিগগিরই রির্পোট জমা দেওয়া হবে। আগামী ২৭ জানুয়ারি স্কিম কমিটির নির্ধারীত দুই মাস সময় শেষ হচ্ছে। কিন্ত এখনও কমিটি কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।’
পরবর্তীতে সময়সীমা বাড়ানো হবে কি-না এ বিষয়ে সৈয়দ সাজিদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের ভিতরেই আমরা কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।’
ডিএসইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষ স্কিম বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের তথ্য চাওয়া হয়েছিল এবং তারা এ বিষয়ে তথ্য ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। বৈঠকে সেসব তথ্য পর্যালোচনা করা হবে’।
তিনি বলেন, ‘ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্যই এই কমিটি কাজ করছে। তবে আর্থিকভাবে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হলে সরকারের বড় ধরণের প্রণোদনার প্রয়োজন হবে। তবে এর চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির আইপিওতে বিশেষ কোটা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তবে এ বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে গত ২৩ নভেম্বর এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন স্কিম কমিটি ঘোষণা দেন। ২৭ নভেম্বর সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষ স্কিম প্রণয়নের জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তিতে কমিটির কাজের সুবিধার্তে একজন সদস্য বাড়ানো হয়।
গত ১৮ ডিসেম্বর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করতে গঠিত বিশেষ স্কিম কমিটি সব মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের কাছে মার্জিন ও ননমার্জিন হিসাবসমূহের তথ্য চেয়ে চিঠি ইস্যু করে।
প্রথম পর্যায়ে সময়সীমা বেধে দেওয়া হয় ৪ জানুয়ারি। নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের তালিকা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ে সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয় ১০ জানুয়ারি। যা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।