সব জল্পনার অবসান শেষ। আজ মঙ্গলবার ঘটলো দুই সেলিব্রেটির মিলন পর্ব। পতৌদির নবাব সাঈফ আলি খানের বেগম হলেন কারিনা কাপুর। এদিন নিকাহ-পর্ব হলো মুম্বাইয়ের কোলাবার তাজ মহল হোটেলে। রিসেপশন দিল্লিতে, ১৮ অক্টোবর।
একসঙ্গে ঘর বাঁধতে কী না করেননি দু’জন! বিয়ের যাবতীয় প্রশ্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন সাঈফ নিজে।
এমনকি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে কারিনাও বারবার অস্বীকার করেছেন শাশুড়ি শর্মিলা এবং ননদ সোহার দৃপ্ত দাবি। মঙ্গলবার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-বন্ধুদের উপস্থিতিতে একে অপরকে ‘কবুল’ বললেন সাঈফ-কারিনা।
তবে তারআগে রোববার বান্দ্রার বিলাবহুল অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে আয়োজন করা হয়েছিল বর্ণাঢ্য সংগীতানুষ্ঠানের। ‘সাঈফিনার’ সংগীত উপলক্ষ্যে সেখানে বসেছিল চাঁদের হাট।
পরিবারের আদুরে ‘বেবো’-র সংগীতে বান্দ্রার কাপুর অ্যাপার্টমেন্ট সেজেছিল ফুলের চাদরে। সেজেছিলেন হবু বেগম কারিনাও। তবে তা ছিল ভারতীয় পোশাকে। পর্দায় খোলামেলা পশ্চিমি ধাঁপের পোশাকে স্বচ্ছন্দ হলেও এদিন করিনার গোটা লুকটাই ছিল একটু অন্যরকম।
পতৌদি পরিবারের বনেদিয়ানার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তার ডিজাইনার বন্ধু মণীশ মালহোত্রা তাকে সাজিয়েছিলেন উজ্জল কমলা রঙের লেহেঙ্গা-চোলিতে। চুল পরিপাটি।
গলায় ভারী কণ্ঠহার, হাতে সবুজ চুড়ি। লজ্জাঘন দৃষ্টিতে অধোমুখ বেবো যেন ৪৩ বছর আগের সেই লাজুক বাঙালি কন্যা, শর্মিলারই প্রতিচ্ছবি।
আর সাঈফের পরনে ছিল ভারী চিকন কাজের সফেদ শেরওয়ানি। কাপুর এবং পতৌদি পরিবারের অন্যান্যরাও ছিলেন কেতাদুরন্ত পোশাকে সুসজ্জিত। সন্ধ্যা গড়াতেই এদিন বান্দ্রার কাপুর রেসিডেন্সে একে একে আসতে শুরু করেন অতিথি-অভ্যাগতরা।
আসেন করণ জোহর, সঞ্জয় কাপুর, ববিতা, তুষার কাপুর, মালাইকা আরোরা খান, মণীশ মালহোত্রা, সাঈফের বোন সোহা আলী খান, কুণাল খেমুরা। সবাইকে চমকে দিয়ে প্রবেশ করেন কারিশমার কাকিমা নীতু সিংসহ সাঈফ-কন্যা সারাও।
কারিনা-সাঈফকে মধ্যমণি করে জনপ্রিয় হিন্দি ছবির জমাটি নাচের তালে তালে মেতে ওঠেন দুই পরিবারের সদস্যরা। পা মেলান বলিউডের অপরাপর নক্ষত্ররাও। অনুষ্ঠান শেষে নবাব ও তার হবু বেগমকে ভবিষ্যতের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নেন সবাই।
এদিকে, মঙ্গলবার নিতান্তই ঘরোয়া পরিবেশে আত্মীয়-বান্ধবদের উপস্থিতিতে নিকাহ-পর্ব শেষে বান্দ্রার ফরচুন হাইটস-এ তাদের রেজিস্ট্রি। এরপর দিল্লিতে রয়েছে রিসেপশন। আশা করা হচ্ছে- জমজমাট সংগীত।
এরপর বৃহস্পতিবারের রিসেপশনেও থাকবে গ্ল্যামারের বর্ণময় ছটা।