পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। এছাড়া বাংলাদেশে ইইউ’র অর্থায়নে বাস্তবায়নের পথে থাকা প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স’র অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা।
হানা বলেন, “পদ্মা সেতুতে ইইউ’র অংশগ্রহণ না থাকলেও এখানে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করা উচিত বলে আমরা বিশ্বাস করি। ইইউ’র অর্থায়নে কোন প্রকল্পে কোনো ধরনের দুর্নীতিকে কখনোই প্রশয় দেয়া হবে না বলেও জানান হানা।”
ইইউ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, “বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করা উচিত। কমিশনকে আরো স্বাধীনতা দেয়া উচিত, পাশাপাশি অনুসন্ধানের সক্ষমতাও বাড়ানো উচিত।”
রোববার রাজধানীতে ‘ইইউ অর্থায়নে বাংলাদেশে প্রকল্প’ শীর্ষক এক আলোচনার সভার আয়োজন করে ইইউ। সেখানে উপস্থিত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ওলিং বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিতে চাই, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইইউ’র জিরো টলারেন্সে বিশ্বাস করে।”
আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ হাইকমিশনর
রবার্ট গিবসন, জার্মান রাষ্ট্রদূত হোলগার মিখাইল, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আলফোন্স হেনকেন্স, স্পেনের রাষ্ট্রদূত লুইস তেজাদা চ্যাকোন, সুইডিশ রাষ্ট্রদূত এ্যানেলি লিনদাল কেনি, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন বাবোউ ক্যামিচেত্তি, ইতালির চার্জ দ্য এফেয়ার্স এ্যাদমান্দো ফ্যালাকোনি, ইইউ কাউন্সিলর মিল্কো ভ্যান গ্যোল, ইইউ ফার্স্ট সেক্রেটারি এন্ড্রিও বার্ন্যান্ড এবং ডিএফআইডি বাংলাদেশ প্রধান জিউয়েন হাইন্স।