লিবিয়ার জাতীয় কংগ্রেস রোববার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলী জিদানের নাম ঘোষণা করেছে। গত একমাসের মধ্যে তিনি লিবিয়ার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে মুস্তাফা আবু সাগুর সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে তাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিসভা গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন লিবিয়ার রাষ্ট্রপতি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিদান ৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী জাস্টিস এন্ড কন্সট্রাকশন পার্টির (জেকেপি) প্রার্থীকে পরাজিত করেন। দলটির সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লিবিয়াতে নতুন করে সহিংসতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করার মুর্হূতে জাতীয় পরিষদের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল।
উল্লেখ্য, আলী জিদান সাবেক শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনামলে পেশাদার কূটনীতিক ছিলেন। তিনি ১৯৮০ সালে বিরোধী দলে যোগ দিয়ে দেশ থেকে নির্বাসিত হন।
স্থানীয় জনগণের কাছে জিদান একজন উদার ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি লিবিয়ার সাবেক সরকারের ইউরোপীয় দূত হিসেবে কাজ করতেন।
গাদ্দাফির বিরোধী শক্তিকে সহায়তা করার কারণে তিনি সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির ঘনিষ্ঠজন হয়ে ওঠেন।