যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অ্যালভিন রথ ও লয়েড শ্যাপলি যৌথভাবে চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
সোমবার এ ঘোষণা দিয়ে সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্সেস দুই অর্থনীতিবিদকে উদ্ধৃত করে জানান, তারা দুজনই স্থিতিশীল বণ্টন তত্ত্ব এবং বাজার ব্যবস্থার (মার্কেট ডিজাইন) ব্যবহারিক দিক নিয়ে কাজ করেছেন তারা।
তাদের কাজের মূল বিষয়- সম্পদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম বণ্টন।
রথ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং শ্যাপলি লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
নোবেল একাডেমি বলেছে, যদিও তারা স্বাধীনভাবে কাজ করেছেন। কিন্তু শ্যাপলির মৌলিক তত্ত্ব এবং রথের প্রায়োগিক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও ব্যবহারিক নকশা সম্মিলিতভাবে এ বিষয়ে গবেষণা বিপুল ক্ষেত্র খুলে দিয়েছে এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন বাজার ব্যবস্থার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করেছে।
নৈতিক এবং আইনগত জটিলতার মধ্যে বাজারে চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার একটা সর্বোত্তম উপায় বের করার তত্ত্বটি শ্যাপলি ও তার সহকর্মীরা আবিষ্কার করেন ১৯৬২ সালে।
এ তত্ত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্কুলে পছন্দের ভিত্তিতে ছাত্রভর্তির জটিলতা নিয়ে কাজ করা হয়েছে।
আর এ সমস্যার সমাধান করতেই গল-শ্যাপলি অ্যালগরিদমের উদ্ভাবন। উভয়পক্ষে উপযোগ ঠিক রেখে একটি ‘স্থিতিশীল ভারসাম্য’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ অ্যালগরিদমের উদ্ভাবন করা হয়।
এ ধরনের বণ্টন ব্যবস্থায় কোনো পক্ষই অপরপক্ষের চেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ পাবে না কিন্তু উভয়পক্ষে উপযোগ সন্তোষজনক থাকবে- নোবেল কমিটি এ অ্যালগরিদমকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছে।
এ তত্ত্বকেই বাস্তবে প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন অ্যালভিন রথ।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের প্রচলন শুরু হয়। এ বিষয়ে এবারের পুরস্কারটি ৪৩তম।
নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৮ সাল থেকে।