ব্রাসেলস সফরে বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে : প্রধানমন্ত্রী

ব্রাসেলস সফরে বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার তার ব্রাসেলস সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল গেটওয়ের আওতায় বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সংযোগ, শিক্ষা ও গবেষণা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে বিনিয়োগের সুযোগের নতুন দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সফরের মাধ্যমে আমি আশাবাদী যে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।’
ইইউর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তার সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তাঁর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ নিচে দেওয়া হলো-
‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম। শুভ অপরাহ্ণ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক প্রথমবারের মত আয়োজিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য আমি ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর ২০২৩ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফর করি। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের আমন্ত্রণে আমি এই ফোরামে যোগ দেই। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় তথ্যমন্ত্রী, আমার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ আমার সফরসঙ্গী ছিলেন।
সফরের প্রথম দিন ২৫ অক্টোবর সকালে আমার হোটেল স্যুইটে ইউরোপীয় কমিশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় ট্রেড কমিশনার মি. Valdis Dombrovskis-এর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়।
বৈঠকে আমরা বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করি এবং আগামীতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করি।
আমি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের Everything But Arms-এর আওতায় বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানাই।
কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অবরোধ ও পাল্টা অবরোধের কারণে অর্থনৈতিক অভিঘাত বিবেচনায় নিয়ে আমি বাংলাদেশসহ অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে খউঈ উত্তরণ-পরবর্তী ৩ বছরের পরিবর্তে ৬ বছরের জন্য বাণিজ্য সুবিধা ২০৩২ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাই। একইসঙ্গে পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশকে GSP+ বাণিজ্য সুবিধা প্রদানেরও অনুরোধ জানাই।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা বিশেষ করে বিনিয়োগ সুবিধা তুলে ধরে আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।
ইউরোপীয় ট্রেড কমিশনার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী বাণিজ্য সুবিধার বিষয়ে আরও আলোচনার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
এরপর ইউরোপীয় কমিশন কার্যালয়ে কমিশনের প্রেসিডেন্ট Ursula von der Leyen-এর সঙ্গে আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।
বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট Global Gateway Forum-এ অংশগ্রহণের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে আমরা বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ৫০ বছরেরে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দেই এবং এ লক্ষ্যে শীঘ্রই দুপক্ষের মধ্যে Partnership and Cooperation Agreement-এর আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের Everything But Arms-এর আওতায় বাণিজ্য সুবিধার অবদান তুলে ধরেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহুমুখী সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া Global Gateway-এর আওতায় দুপক্ষের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কানেকটিভিটিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশলগত বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকার, European Investment Bank এবং ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৭৭ মিলিয়ন ইউরোর কয়েকটি ঋণ সহায়তা এবং অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, European Investment Bank-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং আমি উপস্থিত ছিলাম।
চুক্তিগুলির মধ্যে ছিল European Investment Bank-এর সঙ্গে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি, ইউরোপিয়ান কমিশনের সঙ্গে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ ও কারিগরি সহায়তা অনুদান এবং ১২ মিলিয়ন ইউরোর সবুজ জ্বালানি বিষয়ক অনুদান চুক্তি। এসবের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি আলাদা অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং আমি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করি।
বিকেলে আমি Global Gateay -এর Opening Plenary Session-এ বক্তব্য দেই। আমি আমার বক্তৃতায় বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরি। Global Gateay উদ্যোগটি সারাবিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও টেকসই বিনিয়োগের একটি সেতুবন্ধ হয়ে উঠবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি।
পাশাপাশি, আমি বাংলাদেশের মত দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়াটি মসৃণ রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধা বজায় রাখার আহ্বান জানাই।
আমি বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে চলমান যুদ্ধ ও সংঘাত নিরসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহের নেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই। অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সে অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।
একই দিন বিকেলে European Investment Bankএর প্রেসিডেন্ট Dr. Werner Hoyer আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকালে আমি বাংলাদেশের নদী খনন, পানিসম্পদ রক্ষা, ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করে সেচকার্য, রেল ও অন্যান্য কানেকটিভিটি, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন ও গবেষণার জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।
এরপর ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মিজ Nicola Beer আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে আমরা বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে চলমান যুদ্ধ ও সংঘাত দ্রুত অবসানের ব্যাপারে একমত হই এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করি।
বিকেলে ইউরোপীয় কমিশনের Commissioner for Crisis Management Janey Lenarčič-এর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। বৈঠককালে তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আরও ১০.৫ মিলিয়ন ইউরো অনুদানের ঘোষণা দেন। আমি রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই। এ ছাড়া, ইউরোপিয়ান কমিশনের Commissioner for International Partnerships Jutta Urpilainen আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিন সন্ধ্যায় আমি Global Gateway Forum-এ অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানদের সম্মানে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আয়োজিত একটি নৈশভোজে অংশগ্রহণ করি।
সফরের দ্বিতীয় দিন ২৬ অক্টোবর সকালে আমি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী Alexander De Croo-এর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করি। বৈঠককালে আমি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের EBA বাণিজ্য সুবিধার অবদান তুলে ধরি। কোভিড-১৯ এবং ইউক্রেন যুদ্ধজনিত অর্থনৈতিক অভিঘাত বিবেচনায় চলমান বাণিজ্য সুবিধা আমাদেও এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী ৩ বছরের পরিবর্তে ৬ বছরের জন্য অব্যাহত রাখার বিষয়ে সহযোগিতার অনুরোধ জানাই।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী এবং আমি বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন, আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গ্রিন হাইড্রোজেন, পায়রা বন্দরের কাছে জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ রি-সাইক্লিং অবকাঠামো নির্মাণে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করি।
এছাড়া আমি বাংলাদেশে সম্প্রতি প্রবর্তিত Universal Pension Scheme-এর অধিকতর উন্নয়নে বেলজিয়ামের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান জানালে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এরপর লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী Xavier Bettel-এর সঙ্গে আমার হোটেল স্যুইটে দ্বিপাক্ষিক হয়। বৈঠকে আমি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের চরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে লুক্সেমবার্গের উন্নয়ন সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
তাঁকেও আমি বাংলাদেশের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধা ২০২৯-এর পরিবর্তে ২০৩২ পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য সহযোগিতা চাই।
এ ছাড়া আমি আমাদের আইসিটি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে লুক্সেমবার্গের বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-লুক্সেমবার্গ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগসমূহ চিহ্নিত করার জন্য লুক্সেমবার্গ থেকে বাংলাদেশে একটি বাণিজ্য মিশন পাঠানোর আগ্রহ ব্যক্ত করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুদেশের মধ্যে শিগগিরই একটি বিমান চলাচল চুক্তি সাক্ষরিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এরপর আমি Global Gateway Forum-Gi Closing Plenary Session-এ অংশগ্রহণ করি। এদিন বিকালে আমি বেলজিয়ামে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করি। এ ছাড়া এ সফরকালে EURONEWS Ges POLITICO আমার সাক্ষাতকার গ্রহণ করে।
আমি ২৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ব্রাসেলস থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হই এবং ২৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাই।
ব্রাসেলস-এ আমার এ সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশিদারিত্ব এ সফরকালে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। Global Gateway-এর আওতায় বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কানেকটিভিটি, শিক্ষা ও গবেষণা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
আমার এ সফরের মাধ্যমে বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ আরও বিস্তৃতি লাভ করবে বলে আমি আশাবাদী।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
খবর বাসস

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর