রামু-উখিয়া ও টেকনাফের হামলায় ১৭ মামলা: আটক ২২০, পাঁচজনের স্বীকারোক্তি

রামু-উখিয়া ও টেকনাফের হামলায় ১৭ মামলা: আটক ২২০, পাঁচজনের স্বীকারোক্তি

২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধবসতি এবং বিহারে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭টি মামলা দায়ের হয়েছে; আটক হয়েছেন ২শ ২০ জন এবং এর মধ্যে ৫ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ আরও অনেককে সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে পেরেছে।

এবিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জানান, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর রামু, উখিয়া ও টেকনাফে হামলার ঘটনায় দায়ের করা ১৭টি মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ২শ ২০ জনকে আটক করেছে।

এঘটনায় ১৭টি মামলার এজাহারে ৩শ ২১ জন আসামির নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া মামলায় আরও অজ্ঞাতপরিচয় ১৪ হাজার ৬শ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি জানান, আসামিদের মধ্য থেকে শনিবার পর্যন্ত ২শ ২০ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছেন ১শ ৩০ জন। অপর ৯০ জনকে তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জানান, আটকদের মধ্যে ৫ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ঘটনায় ব্যবহৃত ২টি ট্রাক ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, আদালত সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে ট্রাকসহ আটক হেলপার রামু উপজেলার দক্ষিণ রাজারকুলের বদিউল আলমের ছেলে রমজান আলী (২০) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উখিয়ায় আটক বোরহান উদ্দিন ঘটনায় জড়িত ৯ জনের নাম প্রকাশ করে কা. বি. ১৬৪ ধারামতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

ঘটনার দিন ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ আটক মোহাম্মদ রুবেল ৪ জনের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রামুতে আটক আবুল হাশেম রামুর পূর্ব কাটালিয়া পাড়ার সুধাংশু বড়–য়ার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৮ জনের নাম প্রকাশ করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

উখিয়ায় আটক কামাল পশ্চিম মরিচ্যা দীপঙ্কর বৌদ্ধ বিহারে হামলার ঘটনায় তিনিসহ জড়িত ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এতে তদন্ত আরও এগিয়েছে বলে মনে করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জানান, স্বীকারোক্তিতে যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত শনাক্ত করা ব্যক্তিদেরও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ