মিশরে বিপ্লব এবং পরর্বতীত পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী রাজনীতিক হিসেবে আর্বিভূত মোহাম্মদ আল বারাদি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
শান্তিতে নোবেলজয়ী জাতিসংঘ পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাবেক প্রধান আল বারাদি জানিয়েছেন, মোবারকের পতন হলেও মিশরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন না হওয়ায় হতাশা থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিপ্লবের সময়কার জনপ্রিয়তা এবং ভূমিকার জন্য তাকেই মিশরের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাবা হয়েছিল।
আল বারাদি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে একনায়ক মোবারকের পতন হলেও বর্তমানে শাসন ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাতেই কেন্দ্রীভূত। একটি সামরিক কাউন্সিল মিশরের সরকার পরিচালনা করছে।
সামরিক কাউন্সিলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মিশরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০১২ সালের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
ইতিমধ্যেই সামরিক কাউন্সিলের অধীনে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এর ফলাফল এখনও চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়নি।
মোবারক পরবর্তী মিশরে আল বারাদিকে একজন শক্তিশালী উদারপন্থী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে তার সমর্থনে মিশরে ব্যাপক প্রচারণাও চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিশরের সাবেক স্বৈরাচার মোবারক বিরোধী আন্দোলনে দেশটির তরুণ সম্প্রদায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তরুণদের মধ্যে আল বারাদির জনপ্রিয়তাও রয়েছে।
কায়রোর তাহরির স্কয়ারে দীর্ঘ ১৮ দিনের রক্তক্ষয়ী গণআন্দোলনের মুখে হোসনি মোবারক ২০১১’র ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হন।