আলালসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার মামলায় চার্জশিট

গাড়ি পোড়ানোর মামলায় যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪৩ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ চার্জশিট ‘দেখিলাম’ মর্মে স্বাক্ষর করে সোমবার ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল, এরশাদ, সোলায়মান বাবু, আনোয়ার হোসেন ইকবাল ও আনোয়ার হোসেন মামলার থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

এ ছাড়াও ইকবাল হোসেন খান নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার সঠিক নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাকেও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, এরশাদ, সোলায়মান বাবু, আনোয়ার হোসেন ইকবাল ও আনোয়ার হোসেনরা নিরীহ পথচারী ছিল। তারা কোন মিছিলের সাথে ছিল না মর্মে প্রকাশ্য গোপনীয় তদন্তে জানা যায়।

হাবিবুন নবী খান সোহেল সম্পর্কে বলা হয়েছে, তদন্তে তাকে অভিযুক্ত করার মতো কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এজাহারে মির্জা আব্বাসের প্ররোচণা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও তার নির্দেশ দেওয়ার কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

চার্জশিটে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন— ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারি হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাছির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি ইসহাক সরকার, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনামুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি আবুল মনসুর খান দীপক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রওশন, ঢাকা মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম মজনু, হামিদুর রহমান হামিদ, আনন্দ শাহ বাকী বিল্লাহ, মামুন হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, মহিদুল ইসলাম হিরু, আনভীর আদিল খান বাবু, এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, লোকমান হোসেন ফকির, রাজিব আহসান, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আবুল কালাম, আ. আজিজ, তারাপদ সরকার, উজ্জ্বল হোসেন, মোখলেছুর রহমান, রবি ঢালী নজরুল ইসলাম কাজী, জাকির হোসেন, অলিউর রহমান, আব্দুল আলীম রাসেল, ফজলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ইলিয়াস, সাদেক হোসেন, জাবেদ, সোহাগ ভুইয়া, আব্দুল মতিন গাজী, জয়নাল আবেদীন, মো. মোশারফ হোসেন, কাজী রহমান মানিক ও সজল। এছাড়াও চার্জশিটে আসামি স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক  মীর সরাফত আলী সপুকে  পলাতক হিসাবে দেখানো হয়েছে।
আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, নেত্রকোনা জেলায় ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোলযোগ সৃষ্টির জন্য  আসামিরা গত ২ অক্টোবর কোন পূর্ব অনুমোদন ছাড়ায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষণিক এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

এসময় তারা একটি জিপ গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়, যানবাহন সৃষ্টি বাধা দেয়, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেয় এবং ত্রাসের সৃষ্টি করে।

সমাবেশের অপর অংশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল, সেক্রেটারী মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের নেতৃত্বে ২০০/৩০০ জন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশে পাশের এলাকায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকা সৃষ্টি করে।
সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দু’টি ও রমনা থানায় একটি মামলায় দায়ের করা হয়।
চার্জশিটের ৩৪ জন পুলিশসহ ৪৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

রাজনীতি