বাংলাদেশে দুটি রাজনৈতিক ধারা বিদ্যমান উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তির মূল হচ্ছেন শেখ হাসিনা আর ১২ দলীয় ও ১৮ দলীয় জোটের মূল নিয়ামক শক্তি হলো জামায়াত।
শনিবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল সিলেট বিভাগীয় কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রামুর ঘটনা প্রচার করে বিএনপি ও বিরোধী দল বিশ্বের কাছে বর্তমান সরকারকে সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে চায়।
দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে শিল্পীমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করছে। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল চক্রান্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন হবে তত্বাবধায়কহীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে।
কমরেড দিলীপ বড়ুয়া আরো বলেন, প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি ঘাপটি মেরে বসে আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জরুরি ভিত্তিতে বাস্তাবয়ন করে রায় কার্যকর করতে হবে।
তিনি গ্রামীণব্যাংক ও ড. ইউনূসের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘একবার নয়, তিনবার নোবেল পেতে পারেন। কিন্তু মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। যারা কৃষকদের টাকা শোষণ করে নেন, তারা সুদখোর ও ঘুষখোর।’’
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো মতেই টিপাইমুখে বাঁধ দিতে দেওয়া হবে না।
দেশের ১৬ কোটি মানুষ তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারছে- এটা সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিগত খালেদা সরকারের সময় কৃষক সারের জন্য গুলি খেয়েছে। কিন্তু এখন দেশে সারের কোনো সংকট নেই।
সাম্যবাদী দলের সিলেট জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড ধীরেণ সিংহের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য আফরোজ আলী, কমরেড লুৎফুর রহমান, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড মোশাহিদ আহমদ, হবিগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড সুশান্ত দত্ত প্রমুখ।