প্রতি জেলায় ১০ পর্যটন স্পট চিহ্নিত করা হবে: পর্যটনমন্ত্রী

প্রতি জেলায় ১০ পর্যটন স্পট চিহ্নিত করা হবে: পর্যটনমন্ত্রী

দেশের ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে প্রতিটি জেলায় ১০টি করে পর্যটন স্পট চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার-২০১২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, “আমরা দেশীয় পর্যটনকে এগিয়ে নিতে যোগাযোগসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছি। ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি যোগাযোগ আগামী বছর থেকে শুরু হবে।” পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য অর্থমন্ত্রীকে একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ অপার সৌন্দর্যের দেশ। আমাদের মানুষের আতিথেয়তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। এ দেশ একটি সুপ্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ দেশ। এখানে নানা প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে যা ইতিহাসের সাক্ষী। পর্যটক আকর্ষণের জন্য আমরা তাদের বিশেষ সুবিধা দিতে চাই। তাদের জন্য অনারেবল ভিসার ব্যবস্থা করবে সরকার। থাকবে যাতায়াত এবং আবাসনের সব রকমের সুবিধা।”

অনুষ্ঠানে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হাসান মনসুরের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মাকসুদুল হাসান খান, বাংলাদেশ ট্যুরিজন বোর্ডে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান খান কবির, সিটিব্যাংকের বিপণন প্রধান নাজমুল করিম চৌধুরীসহ মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের পর্যটন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, আট দেশের অংশগ্রহণে গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় এশীয় পর্যটন মেলা। মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, জাপান, চীন ও নেপালের ট্রাভেল এজেন্ট, এয়ারলাইনস, হোটেল, ট্যুর অপারেটর এবং এ খাতে বেসরকারি সেবাদানকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। মেলায় অংশগ্রহণকারী আটটি দেশের ১৩০টি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের ২০৯টি স্টল দেওয়া হয়।

অর্থ বাণিজ্য