আজ বি. চৌধুরীর ৮০তম জন্মদিন

আজ বি. চৌধুরীর ৮০তম জন্মদিন

অজস্র ফুল আর শুভেচ্ছা দিলেই শুধু ভালবাসার প্রকাশ হয় না। ভালবাসা সৃষ্টি হয় হৃদয় থেকে। আর হৃদয়ে ভালবাসা আসে কর্ম থেকে। জাতীয় রাজনীতির একটি বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের নাম এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

সেই অধ্যায় আজ মিশ্র ভালবাসা। হয়তো এই অংশটুকুও প্রকাশিত হতো না, যদি না তিনি ক্ষমতার স্বাদ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে বর্তমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা না বলতেন।

অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে তিনি গুডবাই জানালেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে। যে দল তাকে সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করেছিল। এদেশের সবোর্চ্চ পদ মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত  প্রিয়ভাজন হিসেবে যিনি জাতীয়তাবাদী দলের শুরু থেকে ছিলেন এবং দলের মহাসচিব পদ থেকে শুরু করে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই তিনি  রাজনীতির শেষ বলে কিছু নেই এই চিরন্তন উক্তিকে প্রমাণিত করে এই প্রবীন রাজনীতিবিদ ও খ্যাতনামা চিকিৎসক অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা নতুন দল গঠন করলেন “বিকল্প ধারা বাংলাদেশ”

আজ বৃহস্পতিবার সেই জাতীয় নেতার শুভ জন্মদিন। তিনি ১৯৩২ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের মুন্সেফবাড়ীতে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার মজিদপুর দয়হাটায় তার পৈতৃক বাড়ি। বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

বি. চৌধুরী একজন কৃতী ছাত্র, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এদেশের একজন শীর্ষ অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ। তিনি রোগবিজ্ঞান বিষয়ক টিভি অনুষ্ঠানের রেকর্ড অর্জনকারী উপস্থাপক। বি. চৌধুরী যুক্তরাজ্যের তিনটি রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস লন্ডন, এডিনবার্গ ও গ্লাসগো থেকে নির্বাচিত ফেলো এফআরসিপি এবং বাংলাদেশের (সম্মানিত) এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। সফল পার্লামেন্টেরিয়ান বি. চৌধুরী জাতিসংঘে তিনবার বক্তৃতা করেন। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা।

বদরুদ্দোজা সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অনুরোধে ১৯৭৮ সালে রাজনীতি শুরু করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বি. চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি দলটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনীতি