সালাতের গুরুত্ব

সালাতের গুরুত্ব

মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে নিজেকে তার প্রভুর কাছে সমর্পণ করা। আর সালাত হচ্ছে নিজেকে আল্লাহর কাছে শারীরিক ও মানসিকভাবে সপে দেওয়ার সবচেয়ে সুন্দর মাধ্যম।

আল্লাহ তায়ালা মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত করার জন্য। তাই সালাতের মাধ্যমে যেমন আল্লাহকে খুশি করা যায়, ঠিক তেমনি নিজেও মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারে।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের দ্বিতীয়টি হচ্ছে সালাত, পবিত্র কোরান ও হাদিস গ্রন্থে বহু জায়গায় সালাত কায়েম করার তাগিদ ও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, ‌‌‌নিশ্চয়ই সালাত নির্ধারিত সময়ে আদায় করা মু’মিনদের উপর ফরয। (সুরাহ আন-নিসা, ১০৩)

আল্লাহ সালাতকে ফরয করে দিয়েছেন বিধায় কোনো অবস্থাতেই বিনা ওযরে (ইচ্ছা করে) সালাত ছাড়া যাবে না।(ইসলামিক পরিভাষায় ‘ফরয’ মানে হচ্ছে অবশ্য করণীয়)। আল্লাহ(সুব.) আরো বলেন, “তোমরা আল্লাহ অভিমুখী হও এবং তাকে ভয় কর আর সালাত প্রতিষ্ঠা কর, এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।”(সুরাহ আর-রুম, ৩১)

সালাতের মাধ্যমে বান্দা তার প্রভুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে, তাই সালাত আল্লাহর আনুগত্য লাভের জন্য একটি সুন্দর ইবাদাত। একাগ্র মনে সালাত আদায়কারী নিজের ও সমাজের কল্যান ব্যতিত কোনো খারাপ কাজ করতে পারে না। এছাড়া সালাত অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।

পবিত্র কোরানে সুরাহ আনকাবুত এ আল্লাহ (সুব.) বলেন, “নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।”

সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসালাম (সা.) অনেক কথা বলেছেন । আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, তিনি আল্লাহর রাসুলকে বলতে শুনেছেন, “বলতো যদি তোমাদের বাড়ির সামনে একটি নদী থাকে, আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার দেহে কোনো ময়লা থাকবে?” তারা উত্তর দিলেন, তার দেহে কোনো ময়লা থাকবে না। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, “এ হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ সমুহ মিটিয়ে দেন।”(অধ্যায় ৯/৬, হাদিস নং ৫২৮, সাহিহ বুখারি)

আসুন দশ বছর বয়সী শিশুসহ আমরা সবাই নির্ধারিত সময়ে দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি।(সাধারণত সাত বছর বয়স হলে শিশুকে সালাত শিক্ষা দিতে হবে। আর দশ বছর বয়সী শিশুদের সালাত আদায় করতে কঠোরভাবে তাগিদ দিতে হবে।)

ইসলামী জগত