কক্সবাজারের রামুতে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে সহিংসতার সূচনাকারী সেই আবদুল মুক্তাদির আরিফকে আটক করা হয়েছে। তিনি অবমাননাকর ছবিটি ফেইসবুক থেকে নিয়ে প্রিন্ট করে বিলি করেছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাপুলিশ তাকে আটক করে। বুধবার মুক্তাদিরকে কক্সবাজারে নেওয়া হয়।
মুক্তাদির ফেনীর শ্যামলী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। মুক্তাদির রামু উপজেলার শ্রীকুল এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর ফকিরাবাজারের ‘ফারুক কম্পিউটার টেলিকম’ নামের দোকানে এসে মুক্তাদির নামের পলিটেকনিক কলেজের এক শিবিরনেতা উত্তম কুমার বড়ুয়ার ফেইসবুক পরিদর্শন করে বির্তকিত সেই ছবিটি বের করেন। এরপর ছবিটি শত শত কপি প্রিন্ট করে সরবরাহ করা শুরু হয়। এ কাজে অংশ নেন আবদুল হক, রোহিঙ্গা জঙ্গি হাফেজ আহমদ, শিবিরের কর্মী খোরশেদ আলমসহ অনেকেই । ইতিমধ্যে ‘ফারুক কম্পিউটার টেলিকম’ এর মালিক ফারুককে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার দোকানের কম্পিউটারসহ অন্য মালামালও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রামু, উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের অনেককেই রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এরা প্রাথমিকভাবে ব্যাপক তথ্য প্রকাশও করছে বলে জানা গেছে।
আদালত সূত্র বলেছে, এ ঘটনায় আটক ৫ জন ইতিমধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দিও দিয়েছেন। ওই জবানবন্দিতে অনেকের নামও উঠে এসেছে।