জামায়াত নেতা গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়েছে গণমিছিল ও সমাবেশ।
শুক্রবার বাদ জুমা (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদ এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের এই গণমিছিল শুরু হয়ে আলতাব আলী পার্কস্থ শহীদ মিনারে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে গণমিছিলে আওয়ামী লীগ, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, মুক্তিযোদ্দা সংসদ, প্রজন্ম-৭১, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল, যুবলীগ, যুব ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জুমা নামাজের পরপরই ব্রিকলেন মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে এই গণমিছিল শুরু হওয়ায় সাধারণ মুসল্লিদের একটি বড় অংশও সম্পৃক্ত হন গোলাম আযমের ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত এই মিছিলে। মিছিলটি বিলেতে বাঙালির প্রাণকেন্দ্র ব্রিকলেন প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘গোলাম আযমের গ্রেফতারে দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ পরবর্তী আনন্দের মতো আজ আনন্দে ভাসছে বাঙালি জাতি। এই প্রবাসে বসবাসরত আমরা বাঙালিরাও এর অংশিদার।’
বক্তারা বলেন, ‘বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি বাঁকে যে শহীদ মিনার আমাদের ভরসা দিয়েছে, সাহস যুগিয়েছে, আজ সেই শহীদ মিনারেই আমরা এসেছি ’৭১-এর ঘাতককূল শিরোমনি গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবি নিয়ে। আজকের এই সমাবেশ সর্বস্তরের প্রবাসী বাঙালিদের পক্ষ থেকে বাঙালির ইতিহাসের নিকৃষ্টতম যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চায়।’
বক্তারা মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতির ললাট থেকে একে একে কলঙ্কতীলক অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে, এবার ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্নের মাধ্যমে জাতির এই কলঙ্কতীলক পুরোপুরি মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা। এজন্যে তাঁকে স্যালুট জানাই।’
‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আদৌ হবে কি না, এমন সন্দেহ ও বিভ্রান্তি যারা এতদিন ছড়িয়েছেন, গোলাম আযমের গ্রেফতারের মাধ্যমে তাদের এই বিভ্রান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এবার আর হালে পানি পাবে না’ বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবাব চৌধুরী, জাসদ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল মনসুর লীলু, আওয়ামী লীগসহ সভাপতি এমএ রহিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাব উদ্দিন চঞ্চল, সহ-সভাপতি মুজিবুল হক মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইসহাক কাজল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আনসার আহমেদ উল্লা, মানবাধিকার কর্মী শাহাব উদ্দিন বেলাল, কমিউনিস্ট পার্টির শাহরিয়ার হোসেন, যুবলীগের জামাল খান, মাহবুব আহমেদ, প্রজন্ম- ’৭১-এর আহমেদ নুরুল টিপু, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের অ্যাডভোকেট আনিস আহমেদ ও ছাত্রলীগের রুম্মান আহমেদ প্রমুখ।