বিশ্বের খ্যাতনামা জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা সারা বিশ্বে তাদের বিক্রয়কৃত ৭০ লাখেরও বেশি গাড়িকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই গাড়িগুলোকে তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।পরবর্র্তীতে ত্রুটি সারিয়ে এগুলোকে আবারও মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
ত্রুটির শিকার হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে ইয়ারিস, করোলা এবং ক্যামরি মডেলের বিলাসবহুল গাড়িও অর্ন্তভূক্ত। মূলত গাড়িগুলোর জানালার কাচ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওঠা নামা করানোর জন্য ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সুইচে ত্রুটির কারণেই টয়োটা কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইউরোপ থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৪ লাখ ৭০ হাজার এবং চীন থেকে ১৪ লাখ ত্রুটিপূর্ণ গাড়িতে প্রত্যাহার করবে টয়োটা। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ডের ৮০ লাখ গাড়ি তুলে নেওয়ার পর এটিই হলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গাড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা।
তবে জানালার কাচ ওঠা নামার সুইচের ত্রুটির কারণে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে টয়োটা কর্তৃপক্ষ।
চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পাশাপাশি টয়োটা জাপান থেকে ৪ লাখ ৫৯ হাজার গাড়ি এবং অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার অপরাপর দেশগুলো থেকে আরও ৬ লাখ ৫০ হাজার গাড়ি প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানা গেছে।
মূলত ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে উৎপাদিত হওয়া টয়োটার কিছু নির্দিষ্ট ব্রান্ড যেমন ইয়ারিস, ভিয়োস, করোলা, ম্যাট্রিক্স, অরিস, ক্যামরি, র্যাভ৪, হাইল্যান্ডার, তুন্দ্রা, সেকুইয়া, এক্সবি এবং এক্স ডি মডেলের গাড়িগুলোই জানালার কাচের সুইচ সংক্রান্ত এই ত্রুটির শিকার বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
টয়োটার পক্ষ থেকে গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এ প্রসঙ্গে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা অভিযোগ পেয়েছেন ত্রুটির শিকার গাড়িগুলোতে জানালার কাচ ওঠা নামা করার স্বয়ংক্রিয় সুইচগুলো মসৃন ভাবে কাজ করছে না।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন অনেক ক্ষেত্রেই কাচ ওঠা নামার সময় আটকে যাচ্ছে, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে কাজই করছে না বলে দাবি করেছেন অনেক চালকই।
জানা গেছে ত্রুটির শিকার গাড়ির মালিকদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যোগাযোগ করবে টয়োটা। পরবর্তীতে টয়োটার সার্ভিসিং সেন্টারে গাড়িগুলো নিয়ে এগুলো ত্রুটিগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানা গেছে।