বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, সিইসি পুনঃনিয়োগ পেতে পারেন। এর চেয়ে দুভার্গ্যজনক আর কি হতে পারে। ওই ব্যক্তি সরকারের আজ্ঞাবহ ও নতজানু। তাকেই যদি আবার নিয়োগ দেয়া হয়, তাহলে রাষ্ট্র্রপতিকে দিয়ে সংলাপ নাটক করা হলো কেন।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক ম্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব উল্লাহ স্মরণে সভা আয়োজন করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদাকে পুনঃনিয়োগ জনগণের কাছে প্রহণযোগ্য হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হলে তাও জাতির কাছে গ্র্রহণযোগ্য হবে না।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশকে সংঘাত ও অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করতে সরকারের প্রতি পরামর্শ থাকবে, আগামী ২৫ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল সংসদে আনুন। এর আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হলে তা হবে অর্থহীন।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে ‘জাতীয় দাবি’ হিসেবে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে কয়েকটি দল ছাড়া সবাই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে মত দিয়েছে। এই দাবিকে উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে দেশে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে। এর মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’
পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক সদরুল আমিন, ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শাহ মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।