মালয়েশিয়ায় একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছে একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করার চেষ্টাকালে পাশের মহাসড়কে একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে, এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।
সেলাঙ্গর রাজ্যের পুলিশ প্রধান হুসেইন ওমর খান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, একটি বিচক্র্যাফট মডেল ৩৯০ (প্রিমিয়ার ১) আকাশযান, ছোট একটি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক উড়োজাহাজ, অবতরণ করার ঠিক আগে ছয় যাত্রী ও দুই ক্রুসহ ভোররাত ২টা ৪৮ মিনিটে এলমিনা শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়।
উড়োজাহাজটি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলার পর মহাসড়কে একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘জরুরি কোনো বার্তা ছিল না, বিমানটিকে অবতরণ করার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছিল।’
দুর্ঘটনাস্থলে একটি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএএম) জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি অবকাশযাপন দ্বীপ লাংকাউই থেকে ছেড়ে এসেছিল এবং কুয়ালালামপুরের কাছে সেলাঙ্গরের সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল।
সিএএএমের প্রধান নির্বাহী নুরুজ্জামান মাহমুদ জানান, উড়োজাহাজটি ভোররাত ২টা ৪৭ মিনিটে সুবাং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করে আর অবতরণের ক্লিয়ারেন্স পায় ২টা ৪৮ মিনিটে। ২টা ৫১ মিনিটে সুবাং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল লক্ষ্য করে দুর্ঘটনাস্থলে থেকে ধোঁয়া উঠছে, কিন্তু উড়োজাহাজটি থেকে কোনো মেডে কল দেওয়া হয়নি।
সিএএএম জানিয়েছে, মালয়েশীয় ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ পরিষেবা কোম্পানি ‘জেট ভালেট এসডিএন বিএইচডি’ ফ্লাইটটি পরিচালনা করছিল।
তদন্তকারীরা উড়োজাহাজটির ব্ল্যাক বক্স খুঁজছে। এই ব্ল্যাক বক্সে উড্ডয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য রেকর্ড করা আছে।
মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী অ্যান্থনি লোকি বলেন, ‘তদন্ত চলমান থাকায় আমরা এখনই বলতে পারব না কী কারণে উড়োজাহাটি বিধ্বস্ত হলো। ফরেনসিক কর্মকর্তারা নিহত সবার দেহাবশেষ শনাক্ত করছে।’