উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনটি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার নিষেধাজ্ঞারোপের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করতে চায়, এমন যে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে, রাশিয়া ক্রমবর্ধমানভাবে ইউক্রেনে যুদ্ধ টিকিয়ে রাখতে, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত যুদ্ধাস্ত্র এবং ভারী সরঞ্জাম হারিয়ে এখন উত্তর কোরিয়া এবং অন্যান্য মিত্রদের দিকে সাহায্যের চাইতে বাধ্য হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। নতুন নিষেধাজ্ঞা তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ।
ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাস ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ আর্থিক নেটওয়ার্কগুলোকে সমূলে উৎপাটন করে চলেছে, মূলত যেগুলো উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তা যোগাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের পাশাপাশি, আমরা ইউক্রেনে পুতিনের নৃশংস যুদ্ধের মূলে থাকা অস্ত্র ব্যবসাকে উন্মোচিত ও ব্যাহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বুধবারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সংস্থা তিনটি হল ভেরাস এলএলসি, প্রতিরক্ষা ইঞ্জিনিয়ারিং এলএলপি এবং ভার্সর এসআরও।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর থেকেই পশ্চিমাদের নানা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে। এরপর থেকেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এশিয়া অঞ্চলে বাণিজ্য জোরদারে মনোনিবেশ করেছে মস্কো। এই লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার বাধা ডিঙিয়ে এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু। ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। দুই দেশের মধ্যে ‘দীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত সম্পর্ক’ গড়তে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।