হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষ সবার ওপরই জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ। অন্যান্য দেশের মতোই প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকেও অনেক নারী হজে যান। তারা অনেক জরুরি মাসায়েলের সম্মুখীন হন। এ ধরনের কতিপয় মাসায়েল নিয়ে এই প্রবন্ধ।
এক. ফরজ হজের ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি জরুরি নয়। নির্ভরযোগ্য মাহরিম পাওয়া গেলে স্বামীর অনুমতি ছাড়াও ফরজ হজে যাওয়া যাবে। তবে হজের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ ও মহান ইবাদতের ব্যাপারে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে তাকে সম্মত করে যাওয়াটাই ভালো। (আলমগীরী, আপকে মাসায়েল ৪/২০)
দুই. মহিলারা কোনো অবস্থাতেই মাহরিম ছাড়া হজে যেতে পারবেন না। অনেকে মনে করেন মহিলারা দলবদ্ধভাবে হজে গেলে যে কোনো একজনের বা কয়েকজনের মাহরিম থাকলেই চলবে। এটা মারাত্দক ভুল। হজের সফরে প্রত্যেক মহিলার সঙ্গে তার নিজ মাহরিম থাকতেই হবে।
তিন. অনেক মহিলা বোন ও ভগি্নপতির সঙ্গে হজে যেতে চান। কিন্তু শ্যালিকার জন্য ভগি্নপতি যেহেতু মাহরিম নয়, সেহেতু বোন সঙ্গে থাকলেও শ্যালিকা ভগি্নপতির সঙ্গে হজে যেতে পারবে না। বরং তার নিজের মাহরিম সঙ্গে থাকতে হবে।
চার. স্বামী মৃত্যু বা তালাকের ইদ্দতকালে মহিলারা হজে যেতে পারবেন না। (রহিমিয়া-৮/৬২-৬৩)
পাঁচ. হজের ইহরাম বাঁধার সময় মহিলাদের ঋতুস্রাব হলে গোসল করেই ইহরাম বাঁধতে হবে।
ছয়. ঋতুস্রাবের সময় তাওয়াফ ব্যতীত হজের অন্য সব আরকান আদায় করা যাবে। ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে তাওয়াফ করতে হবে।
সাত. ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার আগেই ফেরত ফ্লাইটের তারিখ হয়ে গেলে ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ করে তাওয়াফ করা যেতে পারে। অবশ্য শুরু থেকেই ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ রেখে হজের আরকান পালন করলে তাতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই। (মাহমুদিয়া ১৫/৪৯১)
আট. গর্ভবতী নারীরা হজ করতে পারবেন। (আপকে মাসায়েল ৪/১৯)
নয়. ভিড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহিলাদের রাতে তাওয়াফ করাই উত্তম। দশ. মহিলাদের ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মাথা থেকে আঙ্গুলের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চুল কাটতে হবে।