রামুর সহিংসতার পেছনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শক্তির ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড শাহ আলম ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের(বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ।
সোমবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে সিপিবি ও বাসদ আয়োজিত গত ৫-৬ অক্টোবর চট্রগ্রামের রামু, উখিয়া, পটিয়াসহ সহিংসতায় আক্রান্ত এলাকায় সিপিবি-বাসদের উদ্যোগে যৌথ পরিদর্শন ও তদন্ত পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান।
‘‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা ৬ বার চট্রগ্রাম সফর করেছেন, আমাদের কয়েকজন মন্ত্রী আমেরিকা সফর শেষে চট্রগ্রাম সফর করেছেন’’ উল্লেখ করে বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘‘মার্কিন সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে চট্রগ্রামকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।’’
তিনি বলেন, ‘‘রামুতে স্থানীয় মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংস্কৃতিগত কারণে একটা দূরত্ব আছে। উগ্র মৌলবাদীরা অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে এই দূরত্ব নিরসন করতে বৌদ্ধদের ওপর সহিংসতায় ইন্ধন যুগিয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘রামুর ঘটনায় গোয়েন্দারা আগে থেকে না জানলে তাদের পেছনে ট্যাক্সের টাকা করা হবে কেন? যদি তারা আগে খবর দিয়ে থাকে, তবে প্রশাসন কেন চুপ ছিল?’’
এ সময় তিনি রাজনৈতিক খেলা হিসেবে না নিয়ে স্থানীয় থানার ওসি, প্রশাসনের দায়ী ব্যক্তিসহ সকল জড়িতদের বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা নিয়ে পলিটিক্যাল গেইম হলে প্রকৃত দোষীরা আড়াল হয়ে যাবে।’’
কমরেড শাহ আলম বলেন, ‘‘স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, রামু সহিংসতায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত নেতারা জড়িত ছিলেন। তারা ফেসবুকের ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল, সমাবেশ ও বক্তব্য দিয়েছেন। এসব নেতারা পেছনে ইন্ধন যুগিয়ে সামনে এসে আবার তাদের থামতে বলেছেন। এর সঙ্গে জামায়াতের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী ভাবে জড়িত ছিল।’’
তিনি বলেন, ‘১৬৬৫ সালের আগে চট্রগ্রাম ও আরাকান নিয়ে একটা রাজ্য ছিল। এখন আবার চট্টগ্রামকে ভেঙ্গে আরাকানের সঙ্গে একত্রিত করে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাসদের মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা পারভীন আক্তার, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এসএম শুভ, সহ-সভাপতি মন্টি বৈষ্ণব, প্রগতিশীল চিকিৎসা পরিষদের সদস্য সচিব সুশান্ত বড়ুয়া প্রমুখ।